দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতিমান অভিনেতা সং ইয়ং কিউ আর নেই। সোমবার (স্থানীয় সময়) ৫৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ সিউলের ইয়ংইন শহরের চেওইন-গু এলাকায় একটি গাড়ির ভেতর সং ইয়ং-কিউকে সকাল ৮টার দিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় কোনো ধরনের অপরাধমূলক প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং কোনো চিরকুটও উদ্ধার হয়নি।
অভিনেতাটির এক পরিচিতজন প্রথম তার মরদেহ খুঁজে পান।
সং ইয়ং কিউ ১৯৯৪ সালে শিশুদের মঞ্চনাটক ‘উইজার্ড মুরেল’-এর মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন। তিন দশকের অভিনয় জীবনে তিনি নাটক, সিনেমা ও ধারাবাহিকে অসংখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বিশেষ করে ২০১৯ সালের কৌতুকধর্মী সিনেমা ‘এক্সট্রিম জব’-এ পুলিশ প্রধান চয়ের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এই সিনেমাটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।
এছাড়াও ‘ট্রিক’, ‘স্টোভ লীগ’, ‘বেসবল গার্ল’ এবং ‘হায়েনা’-র মতো জনপ্রিয় নাটক ও সিনেমায় সহ-চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। সং-এর অভিনয়ে ছিল মাটির কাছাকাছি এক বাস্তবতাবোধ এবং শুষ্ক রসবোধ। এই গুণ তাকে দর্শকের পছন্দের পার্শ্বচরিত্র অভিনেতায় পরিণত করে।
তবে চলতি বছরের জুন মাসে তিনি একটি বিতর্কে জড়ান। ইয়ংইনে গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। পুলিশ জানায়, তার রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, তার চালকের অনুমতিপত্র বাতিলযোগ্য।
এই ঘটনার পর তিনি ‘শেকসপিয়র ইন লাভ’ নাটকের মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ান এবং দুটি ধারাবাহিক নাটকে তার চরিত্র বাদ দেওয়া হয়।
সং ইয়ং কিউয়ের এমন আকস্মিক মৃত্যু দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন জগতে আবারও মানসিক স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যমের চাপ নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর আগে চলতি বছরই অভিনেত্রী কিম সে-রনকে নিজ বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
সং ইয়ং কিউ রেখে গেছেন তার স্ত্রী ও দুই কন্যাকে। তার প্রয়াণে কোরিয়ান শিল্প মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলআইএ/জিকেএস