দেশজুড়ে

মহিলা মাদরাসার ২৫ শিক্ষার্থীর গোপন ভিডিও ধারণ-ধর্ষণচেষ্টা

টাঙ্গাইলে হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপন ভিডিও ধারণ করে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা বুুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত মাদরাসাশিক্ষক ওবায়দুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুরে হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদরাসায় ১০ বছরের এক শিশুকে প্রায় দেড় বছর আগে হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে আবাসিকে থেকে ওই শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতো। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালকের ছোট ভাই ও মাদরাসাশিক্ষক ওবায়দুল্লাহ তাকে টাকা চুরির অপবাদ দেয়। এরপর ২৭ জুলাই সকালে ওই শিক্ষার্থীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরে চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বলেন। একপর্যায়ে ধর্ষণচেষ্টা চালান শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ।

২৮ জুলাই মাদরাসা ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলে। বিষয়টি মাদরাসার পরিচালকে জানালে তিনি তার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেয়। পরে জানা যায়, এভাবে শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ আরও ২০-২৫ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টাসহ তাদের ভিডিও ধারণ করেন।

মামলার বাদী জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘আমার মেয়েসহ আরও ২০-২৫ জনের সঙ্গে এমন করেছেন ওবায়দুল্লাহ। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এসআর/এমএস