চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত সামরিক সংঘর্ষ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
ইডব্লিউটিএন-এর ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ওভার’ নামক অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, আমরা যখন দেখি ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়েছে, তখন আমরা সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছি এবং প্রেসিডেন্ট শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছেন।
রুবিও আরও বলেন, ট্রাম্প শান্তির পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি দাবি করেন, কেবল ভারত-পাকিস্তান নয়, আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংঘাত নিরসনে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা রয়েছে।
সম্প্রতি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া, এমনকি কঙ্গো-রুয়ান্ডার ৩০ বছরের যুদ্ধও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছি বলে জানান রুবিও।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ সমাধানের দিকেও নজর দিচ্ছে।
গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, তিনিই উভয় দেশকে শান্তির পথে ফেরাতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবিকে বারবার অস্বীকার করা হয়েছে। নয়াদিল্লির মতে, যুদ্ধ থামার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের আলোচনা থেকেই এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মধ্যস্থতা ছিল না।
গত মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লোকসভায় বলেন, এই বক্তব্য পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও অসত্য যে কোনো বিদেশি চাপের কারণে ভারত সামরিক অভিযান বন্ধ করেছে। আমরা রাজনৈতিক ও সামরিক লক্ষ্য পূর্ণাঙ্গভাবে অর্জনের পরই অভিযানের সমাপ্তি ঘটাই।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ডিজিএমও ভারতের কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ জানানোর পর ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এই বিতর্কিত ইস্যুতে দুই দেশের বক্তব্য এখনো বিপরীতমুখী থাকলেও মার্কিন পক্ষ ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেই চলেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম