লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি সরকারের অনুগত ১২ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী ত্রিপলি থেকে মরদেহ উদ্ধারের কয়েকদিন আগে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তারা। নিহতরা আল-রুওয়াইমি কারাগারে আটক ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন ত্রিপলির প্রসিকিউটর। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো সমর্থিত লিবিয়ার সরকার। একইসঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। লিবীয় সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ওমর টুর্বি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি যে অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বিস্ময়ের কিছু নয়’।তিনি বলেন, ‘লিবিয়া দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কোন কার্যকরী নিরাপত্তা ও আইনি ব্যবস্থা নেই’।টুর্বি বলেন, ‘এটি লিবিয়ায় একটি দুঃখের দিন, পরিষ্কারভাবে নির্দোষ মানুষ খুন হচ্ছে। তারা কোনো বিষয়ে অভিযুক্ত, এ রকম প্রমাণ নেই’।তিনি বলেন, যদিও গাদ্দাফির কয়েকজন অনুগত কর্মকর্তা নৃশংসতার জন্য দায়ী ছিল। তবে এই ১২ কর্মকর্তার প্রাণহানি অন্যায্য। এমন এক সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটলো যখন জঙ্গিগোষ্ঠ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে গাদ্দাফির নিজের শহর সির্তে নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকারি বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো সমর্থিত লিবিয়ার সরকারি সেনাবাহিনী বলছে, তারা ইসলামিক স্টেটের কাছে থেকে সির্তে ও বিমানবন্দর পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিমান হামলা, গোলা বর্ষণ এবং রাস্তায় যুদ্ধের এক সপ্তাহ পর তারা নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। এসআইএস/এমএস