রাজনীতি

কাজী নজরুলকে নিয়ে সত্যিকারের গবেষণা হয় না: দুদু

বাংলাদেশে কাজী নজরুল ইসরামকে নিয়ে সত্যিকারের গবেষণা হয় না বরে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নজরুল গবেষণা ইনস্টিটিউট আছে। কিন্তু সত্যিকারের গবেষণা আমার বিবেচনায় এখন হয় না। কাজী নজরুল ইসলাম সবসময় উপেক্ষিত থেকে গেছেন। ব্রিটিশ আমলে পাকিস্তান আমলে এমনকি বাংলাদেশ আমলেও যদিও তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তারপরও তাকে নিয়ে সেভাবে গবেষণা হয় না। তাকে নিয়ে গবেষণা আরও ভালোভাবে করা উচিত।

দুদু বলেন, অনেকেই কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে কবরে ফুল দিয়েছেন। আমি মনে করি ড. ইউনূসেরও উচিত ছিল সেখানে গিয়ে ফুল দেওয়া। তাহলে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হতো।

বুধবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, কবি অনেকে আছেন, কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম এমন একজন কবি- একাধারে তিনি সাহিত্যিক, নাট্যকার, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, সাংবাদিক, সৈনিক। তিনি বিদ্রোহী কবি, মানুষের কবি, তিনি অভিনয় করেছেন, তিনি রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা ছিলেন। কৃতি কৃষাণ পার্টির নেতা ছিলেন। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তিনি স্পর্শ করেননি।

তিনি বলেন, অনেকে আমার মতামতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। বাংলাদেশের মানুষের চরিত্রের সঙ্গে যদি কোনো কবি যায় তিনি হচ্ছেন কাজী নজরুল ইসলাম। খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, লড়াই করার জন্য, যুদ্ধের জন্য। তিনি গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, ব্রিটিশ ভারতে জেল খেটেছেন।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপি যে রাজনীতি তা করে সাধারণ মানুষের, গরিব মানুষের রাজনীতি করে। স্বাধীনতা, সাম্যবাদ, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি করে। সে হিসেবে বিএনপির রাজনীতি ও বিদ্রোহী কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিন্তাভাবনা একই, একাকার , অভিন্ন। যেমন আমরা সবসময় দেশটাকে রক্ষা করতে চাই। দেশের জনগণের সেবায় আমার নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সারাটা জীবন ব্যয় করেছেন। বর্তমান আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান করছেন।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ঘরে ঘরে পালন করা উচিত। সারাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা উচিত। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা উচিত।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, কবি ও নজরুল গবেষক রেজাউদ্দিন স্টালিন, অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।

কেএইচ/ইএ