আন্তর্জাতিক

কোরআনে আগুন দিয়ে ক্ষোভের মুখে ট্রাম্পের দলের নেত্রী

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে প্রকাশ্যে আগুন ধরিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ৩১তম কংগ্রেশনাল রিপাবলিকান প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ। এর মাধ্যমে তিনি শুধু নিজের ইসলামবিদ্বেষক অবস্থানকেই জোরালো করেননি বরং মার্কিন রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন।

কলম্বিয়ায় জন্ম নেওয়া এই কট্টর ডানপন্থি প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই কোরআনে আগুন ধরান। ঘটনাটির ভিডিও তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হলেও ইলন মাস্কের এক্সে এখনও রয়ে গেছে। এর ফলে গোমেজের পাশাপাশি মাস্কও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

Not a single muslim has condemned the rape of little girls in Europe by their fellow rapist muslims.Because that’s what the Quran teaches, to rape & to “instill terror into the hearts of the disbelievers” Jesus rose from the dead, can’t say the same about Muhamed. pic.twitter.com/Br0MstNzP7

— Valentina Gomez (@ValentinaForUSA) August 27, 2025

ভিডিওতে গোমেজ শুধু কোরআন পোড়াননি, বরং ইসলাম ধর্মকে টেক্সাস থেকে নির্মূল করার শপথ নেন। তিনি আমেরিকাকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করেন ও মুসলিমদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ডাক দেন। এমনকি বলেন, সত্যিকারের সৃষ্টিকর্তা কেবল একজন, তিনি ইসরায়েলের সৃষ্টিকর্তা।

মার্কিন সমাজে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হলেও ক্রমবর্ধমান একটি শক্তি। অথচ ইসরায়েলের গাজায় গণহত্যার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও আরব জনগোষ্ঠীর ওপর বৈষম্য ও হামলা নতুন মাত্রা পেয়েছে। গোমেজ সেই পরিস্থিতিকে আরও উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, কোরআনে যিশুর নাম ২৫ বার আর মেরির নাম ৩৬ বার এসেছে। ইহুদিদের খুশি করতে গিয়ে ভ্যালেন্টিনা যিশু ও মেরিকেও অপমান করেছেন। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, এই কাজ কেবল তার অজ্ঞতাকেই প্রকাশ করেছে

এমনকি, ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান নেতা রিচার্ড গ্রেনেলও গোমেজের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, কোরআন পোড়ানো শুধু মুসলমানদের আঘাত করছে না বরং যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর জন্যও হুমকিস্বরূপ।

ভ্যালেন্টিনা গোমেজ অতীতে মুসলিম, কৃষ্ণাঙ্গ ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছেন। এবার নির্বাচনী প্রচারণায় কোরআন পোড়ানোর মতো উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে ধর্মকে হাতিয়ার করতেই তিনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড, এনডিটিভি

এসএএইচ