জাতীয়

খিলগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে মারধর, চিকিৎসক আটক

রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় সিগন্যাল ছাড়তে দেরি হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নামে একজন চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পর আহত ট্রাফিকের দুই সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানোর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। আহতরা হলেন- এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম।

ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ফজলুল করিম বলেন, খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকা এমনিতেই খুব ব্যস্ত থাকে। ট্রাফিক সদস্যরা স্বাভাবিকভাবেই সিগন্যাল সামলাচ্ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী এক এক করে সিগন্যাল ছাড়ছিলেন। সিগনালের একপাশ আটকে আরেক পাশের গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল, এমন সময় সিগন্যালে আটকে থাকা এক চিকিৎসকের গাড়ি ছাড়ার জন্য তাড়া দেওয়া হচ্ছিল। তার দিকে সিগন্যাল ছাড়লে ওই চিকিৎসকের গাড়ি সামনে আসার পর আটকে দিয়ে অন্য পাশের সিগন্যাল ছাড়েন ট্রাফিক সদস্যরা।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গাড়ি নিয়ে বাসাবোর দিক থেকে খিদমা হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন জানিয়ে ফজলুল করিম বলেন, তখন ওই চিকিৎসক আমার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন। টাকা নিয়ে গাড়ি ছাড়েন- এমন কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে ওই চিকিৎসক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।

তিনি বলেন, এর কিছুক্ষণ পরেই চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন ওই চিকিৎসক। তারা ট্রাফিক পুলিশের ওই দুই সদস্যকে কিল-ঘুসি ও লাথিসহ বেধড়ক মারধর করেন।

পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নামের ওই চিকিৎসক মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত, যাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ফজলুল করিম।

ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রথমে তারা এসে কনস্টেবল রবিউলের গোপনাঙ্গে লাথি মারে। এরপর উপর্যুপরি লাথি কিল-ঘুসি মারতে থাকে। সেখানে দায়িত্বে থাকা এএসআই রবিউল হাসান এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।

চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়ে খিলগাঁও থানার এসআই মো. গুলজার হোসেন বলেন, আমরা তার সঙ্গে কথা বলছি। তিনি বলেছেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, কথাকাটাকাটি হয়েছে, এজন্য সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মারধরে অংশ নেওয়া বাকিদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

টিটি/এমএএইচ/এএসএম