ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির ইশতেহার উন্মোচন করেছে মুসাদ্দিক-জোবায়ের প্যানেল।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের গেটে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক প্রার্থী এ বি জোবায়ের, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক প্রার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহম্মদ, সদস্য প্রার্থী আশিক খানসহ অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মুসাদ্দিক বলেন, আমরা ডাকসু নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের যে ইশতেহার সেটি আমরা বাকি সব শিক্ষার্থীর জন্য দিলেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আওতার বাইরে ছিল। তারাও যেন আমাদের ইশতেহার পড়তে পারেন, তারাও যেন সাহিত্যচর্চা করতে পারেন সেজন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আমরা আমাদের ভাইবোনদের জন্য এ কাজটি করেছি।
এ বি জুবায়ের বলেন, ক্যাম্পাসে নানান সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে, শিক্ষার্থীরা এটি ডাকে নাপা মেডিকেল নামে। জ্বর নিয়ে গেলেও নাপা দেওয়া হয়, মাথাব্যথা নিয়ে গেলেও নাপা দেওয়া হয়। যেই সমস্যা নিয়ে কেউ যাবে, তাকেই নাপা দেওয়া হবে। এখনো ক্যাম্পাস অনিরাপদ, ভবঘুরে ও পাগল মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়ায়। আমরা নির্বাচিত হলে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আশিক খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার সমান সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করবো। বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আসর বসানোর জন্য শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হয়েছিল। যেখানে কোরআন তেলাওয়াতের আসর বসতে পারে, সেখানে গিতা পাঠের আসরও বসানো যায়। সবার সমান সাংস্কৃতিক অধিকার থাকবে, কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না।
এমএইচএ/এএমএ/এমএস