কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এবং পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার জামিনের জন্য ১০ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাকুন্দিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মকবুল হোসেনের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট।
জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট জানান, ৫ আগস্ট গ্রেফতারের পর বোন জামাই হাজী মকবুল হোসেনের জামিনের জন্য তিনি পিপি জালাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জালাল উদ্দিন আশ্বস্ত করার পর টাকার প্রসঙ্গ তোলা হয়। এরপর তিন ধাপে মোট ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন তিনি। তবে নিম্ন আদালতে জামিন না হলেও শেষ পর্যন্ত জালালের সহায়তায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান হাজী মকবুল।
এর আগে বিকেলে আরেক সংবাদ সম্মেলনে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন নানা অনিয়ম ও অপকর্মে জড়িত।
অভিযোগ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতার জামিনে টাকার লেনদেনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে কেউ যদি দলের পদ ব্যবহার করে অনৈতিক কিছু করে থাকে সেটি মোটেও কাম্য নয়। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে রাসেল/এমএন/এমএস