দেশজুড়ে

টাঙ্গাইলে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে চলছে ১৪৪ ধারা, থমথমে পরিবেশ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি চলছে। এতে উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে উপশহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ১৪৪ ধারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে। এর ফলে বাসাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরের ৫০০ গজ পরিসীমার মধ্যে সব ধরনের সমাবেশ, স্লোগান, মিছিল, শোভাযাত্রা, পিকেটিং বন্ধ রয়েছে।

এদিকে রোববার সকল থেকে বাসাইল শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১৪৪ ধারা জারির ফলে উপজেলা শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাসাইলে সব প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শহরে সাধারণ মানুষের চলাচল যানবাহন কম দেখা গেছে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।

আরও পরুন কাদেরিয়া বাহিনী-ছাত্র সমাজের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি

এর আগে শনিবার রাতে ৯ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকলিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

রোববার বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একই সময়ে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে ছাত্র সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।

লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল লিখিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে প্রয়োজনীয় যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন। তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বাসাইল থানার ওসির কাছে অনুলিপি দেন। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।

এদিকে ছাত্র সমাজের ব্যানারে একইস্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেছেন ছাত্র নেতৃবৃন্দের পক্ষে রনি মিয়া নামের এক ব্যক্তি। পৃথক দুটি সমাবেশের আয়োজকরা পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছে।

এ ব্যাপারে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, একই স্থানে কাদেরিয়া বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজ সমাবেশের আহ্বান করেছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এর ফলে ওই স্থানে কেউ সভা ও সমাবেশ করতে পারবে না। তবে পুলিশ যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/আরএইচ/জিকেএস