শিক্ষা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের নামে দুদকে অভিযোগ’ শিরোনামে গত ৪ সেপ্টেম্বর জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের পরিচালক সৈয়দ মানসুর হাশিমের পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা আজীবন সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও মানহানিকর। তিনি কখনই এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নন।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয়। উল্লেখযোগ্য যে, সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ বর্তমানে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশাধীন রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বিষয় জনসমক্ষে উপস্থাপন করা আইনগত প্রক্রিয়ার প্রতি অবমাননাকর এবং অশোভনীয়।

আরও পড়ুননর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের নামে দুদকে অভিযোগ

‘আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে যে নেতিবাচক প্রচারণা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা পূর্ববর্তী সরকার ও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। এই মহল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি দখলের অপপ্রয়াসে লিপ্ত ছিল। একই সঙ্গে এম এ কাশেমের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে আসছে। বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে আসায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রথমত, দুদক ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা পড়া অভিযোগপত্রের সূত্রে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে দুদকে জমা পড়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিচারাধীন কোনো মামলার কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদক অনুসন্ধানী টিম গঠনের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।

এএএইচ/ইএ/জেআইএম