সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে ছাত্রজনতার বিক্ষোভের মুখে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন কার্যালয় জানিয়েছে, বানেশ্বর এলাকায় শুরুতে সীমিত পরিসরে কারফিউ জারি করা হলেও এখন তা বিস্তৃত করে রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতলনিবাস, মহারাজগঞ্জ, ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন, সিংহদরবারের চারপাশ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুয়াটার এবং আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং স্পর্শকাতর সরকারি এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছবি লাল রিজাল ‘স্থানীয় প্রশাসন আইন’র ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকার কথা জানিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে নির্ধারিত এলাকাগুলোতে জনসমাগম, মিছিল-মিটিং কিংবা যে কোনো ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
এর আগে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যারিকেড বসালেও তরুণরা তা অতিক্রম করে। ফলে পুলিশ জলকামান ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীরা গাছের ডাল ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে এবং সংসদ ভবনে প্রবেশেরও চেষ্টা করে।
সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি নিবন্ধনবিহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে হাজারো তরুণ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের ঘরে থাকার এবং কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরও না ঘোলাটে হয়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
এমএসএম