ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় জারি থাকা ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে যাওয়া গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নৌবহরে ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে। আয়োজক সংগঠন গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা (জিএসএফ) জানিয়েছে, তিউনিসিয়ার সিদি বউ সাঈদ বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌযান আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় নোকাটিতে আগুন ধরে যায়, তবে ভেতরে থাকা ছয় যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে রয়েছেন।
পর্তুগালের পতাকাবাহী ওই নৌযানে ফ্লোটিলার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা ছিলেন। আগুন মূল ডেক ও নিচের সংরক্ষণাগারে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে জিএসএফ। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভয় দেখিয়ে কিংবা হামলা চালিয়ে আমাদের লক্ষ্যচ্যুত করা যাবে না। গাজার অবরোধ ভাঙার শান্তিপূর্ণ মিশন আমরা অব্যাহত রাখবো।
তবে ড্রোন হামলার দাবি অস্বীকার করেছে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের বক্তব্য, বন্দরে কোনো ড্রোন শনাক্ত হয়নি ও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুন দুর্ঘটনাবশত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
এদিকে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত জাতিসংঘের ফিলিস্তিন অঞ্চলের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজ রয়টার্সকে বলেন, কারা এর পেছনে ছিল, তা পরিষ্কার নয়। তবে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা থাকলে তা একেবারেই আশ্চর্যের হবে না।
জিএসএফ সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে একটি আলোকিত বস্তু নৌযানে আঘাত করতে দেখা যায়, এরপর সেখান থেকে ধোঁয়া উঠতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পরপরই বন্দরে লোকজন জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’ স্লোগান দেন।
ফ্লোটিলাটি গত মাসে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে রওনা হয়। ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০ থেকে ৭০টি জাহাজ গাজায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই অভিযানে থুনবার্গের সঙ্গে আছেন পর্তুগিজ বামপন্থি রাজনীতিক মারিয়ানা মর্তাগাসহ বহু আন্তর্জাতিক কর্মী।
গত দুই বছরে গাজায় ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন আগ্রাসন ও অবরোধে সহায়তা পৌঁছানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে। এর আগে জুন মাসেও থুনবার্গ নেতৃত্বাধীন একটি নৌযান ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটকে দেয়। এবারও অভিযানের শুরুতেই হামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
এসএএইচ