গত সপ্তাহে নেপালে জেন-জি আন্দোলন চলাকালে আগুন দেওয়া ভবনগুলোতে মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ এ পৌঁছেছে।
নেপালি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুদাথোকি জানিয়েছেন, বহু মানুষের মরদেহ এখন ভাঙচুর চালানো ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া শপিং মল, বাড়ি ও অন্যান্য ভবন থেকে পাওয়া যাচ্ছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ৭২ ও আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ১১৩ জন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে অরাজকতায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি (প্রায় ৭১০০ ডলার) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ও আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। এরমধ্যে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। এর পরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারীদের দমাতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কেউ কেউ নেপালের রাষ্ট্রীয় ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, সংসদ ভবন, পুলিশ স্টেশন, রাজনীতিক-মন্ত্রীদের বাড়ি ও বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করে দেন।
আন্দোলন ব্যাপক ও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এর দুদিন পর শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন ও নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। জেন-জিদের পছন্দ ছিলেন তিনি। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নেপালে সাধারণ নির্বাচন হওয়া কথা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, খবরহাব
এসএএইচ