আইন-আদালত

মিডিয়া আগেও নিয়ন্ত্রিত ছিল, এখনো আছে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশের মিডিয়া (গণমাধ্যম) আগেও নিয়ন্ত্রিত ছিল, এখনো আগের মতোই নিয়ন্ত্রিত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের জবানবন্দি পেশ করেন নাহিদ ইসলাম।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়া সংস্কার হয়নি। যদিও আমিও দায়িত্বে ছিলাম। মিডিয়া এখনো নিয়ন্ত্রিত বলে আমি মনে করি। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গণমাধ্যমের (মেডিয়ার) বিভিন্ন রোল ছিল, ২০২৪ সালের ১৮ ও ১৯ জুলাইয়ের কথা আমি বলেছি। আবার বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায়, অনেক সাংবাদিক, কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কথা বলছি।

তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় অনেক ‍মিডিয়ার ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থানে ছিল, আন্দোলনের বিরুদ্ধেও অবস্থান ছিল। কিন্তু মিডিয়া নিয়ে যে ধরনের প্রত্যাশা আমাদের ছিল, যদিও আমিও দায়িত্বে ছিলাম- সে অনুযায়ী মিডিয়া সংস্কার হয়নি। আগে যেভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ বা বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করা হতো, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

আরও পড়ুন‘মার্চ টু ঢাকা’ ৬ থেকে ৫ আগস্ট কেন, জানালেন নাহিদ ইসলামকোন আইনে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার, প্রশ্ন শিশির মনিরের

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমি যে সময়টুকু দায়িত্ব পেয়েছিলাম, আমরা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছি। তাদের দায়িত্ব ছিল পুরো বিষয়টা সংস্কার প্রস্তাবনা করে সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে হওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার পর্যালোচনা নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যেন এসব মামলা প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়। তারা সুপারিশও করেছিল। বাকিটা আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল। অর্থাৎ সংবাদকর্মী হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনার।

এদিন বেলা সোয়া ১১টার পর ট্রাইব্যুনালে ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেন নাহিদ ইসলাম। দুপুরে তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিরতি দেওয়া হয়। এর পরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এ নায়ককে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান, মামুনুর রশীদসহ অন্যরা। আজ সকালেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে।

এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম