অর্থনীতি

গ্রীষ্মের তরমুজ মিলছে শরতেও, দাম ৬০-৮০ টাকা কেজি

দেশের মানুষ গ্রীষ্মকালে তরমুজ খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু এখন বর্ষা পেরিয়ে শরতেও বাজারে ফলটি মিলছে। ফলের দোকানে তরমুজের আধিক্য দেখে ক্রেতাদের মনে হতে পারে- এখনো কি তরমুজের মৌসুম চলছে?

প্রকৃতপক্ষে গত কয়েক বছর ধরে দেশে বারোমাসি তরমুজের চাষ বেড়েছে। যে কারণে এখন অসময়েও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ধরে। তবে এগুলোর আকার মৌসুমি তরমুজের চেয়ে কিছুটা ছোট। রয়েছে বিভিন্ন রঙের।

আবার বাজারে তরমুজের সঙ্গে রয়েছে খরমুজও। সেগুলোও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বিশেষ করে খুলনা এলাকা থেকে বারোমাসি তরমুজ আসছে বেশি। তবে দেশের আরও কিছু জেলায়ও কমবেশি এ তরমুজ চাষ হচ্ছে। অসময়ের এ ফলের চাহিদা বেশি ও লাভ ভালো থাকায় চাষিরা এতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বিগত চার-পাঁচ বছরে চাষাবাদ কয়েকগুণ বেড়েছে। বছরে তিনবার এটি চাষ করা যাচ্ছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, এসব তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে (মাচায়) চাষ হচ্ছে। মাচা ছাড়াও চাষ করা যায়, তবে মাচা ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে শীতকালের তিন-চার মাস বাদে বাকি সব সময় তরমুজ উৎপাদন সম্ভব। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে এটি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। বিঘাপ্রতি ৬০-৬৫ হাজার টাকা খরচ করে ফল পাওয়া যায় দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকার।

তবে দেশে এখন কী পরিমাণ জমিতে বারোমাসি তরমুজ হচ্ছে বা উৎপাদন কতো, সে তথ্য নেই কৃষি বিভাগের কাছে।

ঢাকায় এসব তরমুজের বড় বিক্রিকেন্দ্র কারওয়ান বাজার ও বাদামতলী। সেখানে প্রতিদিন কয়েক ট্রাক তরমুজ আসছে। যা সারা ঢাকার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে এসব তরমুজ মিলছে প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা দামে।

ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা ও গুলশান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ফলের দোকানেই এখন কমবেশি তরমুজ রয়েছে।

রামপুরার ফল বিক্রেতা শিপন হোসেন বলেন, তিন-চার বছর আগেও এ সময় তরমুজের কথা ভাবায় যায়নি। এখন আড়তে এতো তরমুজ দেখলে অবাক লাগে। ক্রেতারাও উৎসাহ নিয়ে এসব কিনছেন। তবে মৌসুমি তরমুজের চেয়ে এগুলোর স্বাদ কিছুটা কম।

মেরুল বাড্ডার কুমিল্লা ফল ভান্ডারের মালিক অসিম কুমার বলেন, এসব তরমুজ আকারে একটু ছোট। সর্বোচ্চ সাত-আট কেজি হয়। তবে দু-তিন কেজি ওজনের তরমুজ বেশি। আবার রঙিনগুলো এক কেজি ওজনেরও হয়।

এনএইচ/একিউএফ/এএসএম