বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ২৮৭ কোটি টাকা তুলতে চেয়েছিলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল। তবে আগে থেকেই বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ওই হিসাবগুলোর লেনদেন স্থগিত করে রাখায় শেষ পর্যন্ত অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ব্যাংক সূত্র জানায়, ইকবাল ও তার পরিবারের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখায় বড় অঙ্কের টাকা জমা ছিল। এসব হিসাব থেকে অর্থ তোলার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সাড়ে ৩০০টি চেক জমা দেওয়া হয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকে। প্রতিটি চেকের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা করে উত্তোলনের চেষ্টা হয়। কিন্তু বিএফআইইউ বিষয়টি নজরে আনায় টাকা তোলা সম্ভব হয়নি।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক মৌখিকভাবে আগে থেকেই এই হিসাবগুলোর লেনদেন বন্ধ রাখতে বলেছিল। পরে অর্থ উত্তোলনের চেষ্টা হলেও তা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইকবাল, তার স্ত্রী–সন্তান ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় প্রিমিয়ার ব্যাংককে সমপরিমাণ অর্থ ও ডলার জরিমানা করে বিএফআইইউ।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চেয়ারম্যান ছিলেন এইচ বি এম ইকবাল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি পদ ছাড়েন এবং ছেলে ইমরান ইকবালকে চেয়ারম্যান করা হয়। তবে আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ নিয়োগ করে। এর মাধ্যমে ইকবাল পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয় ব্যাংকটি।
ইএআর/এমআইএইচএস/এমএস