ফিলিপাইনের পর এবার চীনে ধেঁয়ে আসছে সুপার টাইফুন রাগাসা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চীনের অন্তত ১০টি শহরের স্কুল, অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপার টাইফুন রাগাসা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানার আগে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
শেনঝেন শহরের জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জরুরি উদ্ধার কর্মী এবং যারা মানুষের জীবনযাত্রা নিশ্চিত করছেন তাদের ছাড়া অন্য কেউ দয়া করে বাইরে বের হবেন না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল থেকে শহরে কাজ ও বাজারের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাগাসা। বলা হচ্ছে, চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন এটি। ঘুর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর ওই অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য ‘বিপর্যয়’ বলে বর্ণনা করেছে দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশের পানুইটান দ্বীপের স্থলভাগে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাগাসা।
ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বা ১৪৩ মাইল বেগে টাইফুনটি দক্ষিণ চীনের পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, রাগাসা ‘জীবন-হুমকিপূর্ণ ঝোড়ো হাওয়ার ঝুঁকি’ নিয়ে আসছে, যার উচ্চতা ৩ মিটার বা ১০ ফুট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাবে। ব্যাপক বন্যা, ভূমিধস এবং ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাজধানী ম্যানিলাসহ দেশটির বিস্তীর্ণ অংশে স্কুল এবং সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশটির দুর্গম উপকূলীয় এলাকা বাতানেস বা বাবুইয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং পূর্বাঞ্চলের কাউন্টি হুয়ালিয়েন থেকে প্রায় ৩০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সোমবার ভোর থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব তাইওয়ানের বনাঞ্চল এবং নৌপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু ফেরি পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।
টিটিএন