জাতীয়

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভোটের ফলাফল নিয়ে মারামারি, আহত ৩

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা চৌমুহনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোঁড়া পাথরে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৮ টার দিকে শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দুই সভাপতি প্রার্থীর লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে বোয়ালখালী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহতরা হলেন, মো. সালেক, মো.ইলিয়াছ ও সাইফুল ইসলাম।

মো.সালেক জানান, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর প্রতিপক্ষের লোকজন ভবনের ওপর থেকে ইটের টুকরো, পাথর ছুঁড়ে মারলে তিনি আহত হন।

সভাপতি পদপ্রার্থী মো. জাহেদ (চেয়ার প্রতীক) বলেন, তিনবার ব্যালট গণনা করা হয়েছে। প্রথমবার চেয়ার প্রতীকে ১৯৪ ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হারিকেন প্রতীকে ১৯২ ভোট পড়ে। দ্বিতীয়বারের গণনায় একই ফলাফল আসে। এরপর তৃতীয়বারের গণনায় চেয়ার প্রতীকে ৪ ভোট কম দেখিয়ে এবং হারিকেন প্রতীককে ১৯২ ভোট পেয়েছে জানিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

জাহেদের অভিযোগ, হারিকেন প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে জেলা বিএনপির সদস্য মেহেদী হাসান সুজন ও ছাত্রদল নেতা এনামুল হক সজীব প্রভাব বিস্তার করেছে। ঘোষিত ফলাফলের বিষয়ে আমার চেয়ার প্রতীকের পোলিং এজেন্ট স্বাক্ষর করেননি। তিনি বাইরে এসে প্রতিবাদ জানালে হারিকেন প্রতীকের লোকজন হামলা করেছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য মেহেদী হাসান সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মতিউর রহমান রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

জানা গেছে, শাকপুরা চৌমুহনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নির্বাচনে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ১২টি পদের মধ্যে ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। অপর ৮টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে হারিকেন প্রতীকের প্রার্থী মতিউর রহমান রাসেল পেয়েছেন ১৯২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. জাহেদ চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ১৯০ ভোট এবং অপর আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস আলম পেয়েছেন ১৮ ভোট। ১৩ ভোট নষ্ট হয়েছে।

উপজেলা সমবায় অফিসার ও শাকপুরা চৌমুহনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী বলেন, দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রার্থীদের বারবার অনুরোধের কারণে একাধিকবার ভোট গণনা করতে হয়েছে। কারো আপত্তি থাকলে একমাসের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

এসএনআর/জিকেএস