দেশজুড়ে

জনগণ যেভাবে চায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সেভাবেই চলতে হবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শুধু সম্মেলন, সভা-সমাবেশ করে নয়, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা ও দেশ গঠনের বার্তা নিয়ে জনগণের ঘরে ঘরে যেতে হবে। দুই-তিন জনের ছোট ছোট টিম করে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। জনগণ যেভাবে চায় বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেভাবেই চলতে হবে। জনগণতে বোঝাতে হবে শিক্ষাব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ান ও স্বাস্থ্যখাতে বিএনপি কীভাবে উন্নয়ন করবে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, এই দেশকে গঠন করতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে। একটি ঘরকে গঠন করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু একটি ঘরকে ধ্বংস করতে বেশি লোকের প্রয়োজন হয় না। তেমনি বাংলাদেশ হলো আমার, আপনার সবার প্রিয় ঘর। গত ১৫-১৬ বছর দেশ একটি ডাকাতের কবলে পড়েছিল। আমরা সবাই মিলে ওই ডাকাতকে বিতাড়িত করেছি।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছর রাজনৈতিক দলগুলোসহ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা হত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হাতকড়া পড়া অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। হাজারো নেতা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আজ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, স্বৈরাচার দেশে থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এখন দেশকে পুনর্গঠনের সময়। যদি জনগণের প্রত্যাশানুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে হয়, তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আরও পড়ুন:আ’লীগের ইতিহাস লুটপাট-সন্ত্রাসের ইতিহাস: সালাহউদ্দিন আহমদ

তারেক রহমান বলেন, দেশ নিয়ে বিএনপির পজিটিভ চিন্তাভাবনা দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য ঐক্য, জনগণ ও দেশ গঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল জনগণের কাঁধে। সেই স্বৈরাচার ও একদলীয় শাসনকে বিতাড়িত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে আবার স্বৈরাচার এসেছে, জনগণ বিতাড়িত করেছে। গত ১৫-১৬ বছর দেশে আরেক স্বৈরাচার এসেছিল জনগণ সেই স্বৈরাচারকেও বিতাড়িত করেছে।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি ও সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

জাহিদ পাটোয়ারী/এমএন/জেআইএম