বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) দ্রুত বাড়ছে। এটি এখন এক গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ রোগ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জাতীয় পর্যায়ের সমন্বিত নীতিমালা জরুরি।
বিশ্ব রেটিনা দিবস উপলক্ষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএইচ) এবং রোশ বাংলাদেশ। এতে নীতি-নির্ধারক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জয়নাল আবেদিন টিটু বলেন, এ কাজে স্বপ্ন দেখার লোক লাগবে। পাগলের মতো লেগে থাকতে হবে। জেলা-উপজেলায় এ উদ্যোগ ছড়িয়ে দিতে হবে। গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে। এসময় তিনি সাপের অ্যান্টিভেনম নিয়ে এক চিকিৎসকের লেগে থাকার উদাহরণও স্মরণ করেন।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. জানে-আলম মৃধা বলেন, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি অন্ধত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। ন্যাশনাল আই কেয়ারের আওতায় ২০০ ভিশন সেন্টার থাকলেও বাজেট সংকটে এগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে। এনজিওর সম্পৃক্ততায় আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এ আলোচনায় অংশ নেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মেজবাহুল আলম, ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা, ডা. মিফতাহুল হোসেন চৌধুরী এবং চক্ষুবিজ্ঞান সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ডা. মো. জিন্নু রেইন নিউটন।
এছাড়া বাংলাদেশ ভিট্রিও রেটিনা সোসাইটির মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির মহাসচিব ডা. শাহজাদা সেলিম, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের ডা. লুতফুল হুসাইন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের ডা. আফসানা হাবিব শিউলি, ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশনের এ কে এম বদরুল হক ও মো. নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আমৃতা রেজিনা রোজারিও, গুড পিপল ইন্টারন্যাশনালের মিনহাজ আহমেদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও অংশ নেন বাংলাদেশ আই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নিয়াজ আব্দুর রহমান, বিএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহ-নূর হাসান, ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউটের ডা. মো. মোমিনুল ইসলাম ও ডা. সাজ্জাদ ইফতেখার। এছাড়া রোশ বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. মফিজুল ইসলাম বুলবুল, হাসান উজ জামান ও ডা. মোশারাত সাবাহ।
আলোচকরা বলেন, দেশে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা এখনো সীমিত। জনসচেতনতা, নিয়মিত স্ক্রিনিং, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ সমন্বিত না হলে ভবিষ্যতে অন্ধত্বের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়বে।
এসইউজে/কেএসআর/জিকেএস