তিন বছর যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন না থাকলেও এবার দেখা মিলেছে জলাতঙ্ক দিবসে। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কুকুর ও বিড়ালকে বিনামূল্যে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।
দিবস উপলক্ষে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি বেওয়ারিশ কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। গত তিন বছর যাবত জেলায় জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকলেও শুধুমাত্র দিবস পালন করতে তা আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলার অন্যান্য উপজেলার মতো সরাইলেও এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন। তিনি ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রায় অর্ধশতাধিক কুকুরকে এই ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনছুর আহমেদ বলেন, আমাদের এখানেও জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন ছিল না। বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে জেলা কার্যালয় থেকে কিছু ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। আমরা ৬০টি পেয়েছি এবং তা প্রয়োগ করেছি।
আরও পড়ুন- টাঙ্গাইলে সরকারি হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকাকুকুর আতঙ্কে এলাকাবাসী, হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের টিকাজলাতঙ্ক আতঙ্কে ৬ কুকুর মারলো এলাকাবাসী
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের একটি পরিকল্পনা ছিল হাউন্ড (কুকুরের এক ধরনের জাত) কুকুরগুলোকে জলাতঙ্ক টিকা দেওয়া। আজ যতটুকু সম্ভব দিয়েছে। বাকিগুলোকে যদি না দিতে পারে উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে দুটি মিটিংও করেছি আমি। জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে ভ্যাকসিনগুলো আনা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৮০০ জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ৬০টি করে দেওয়া হয়েছে দিবসটি পালন করতে৷ বাকিগুলো দিয়ে হয়ত মাস দু’এক চলা যাবে। তবে নিয়মিত ভ্যাকসিন এখনো আমাদের পাঠায়নি।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/জেআইএম