অর্থনীতি

২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধিতে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় হবে বাংলাদেশ

২০২৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধিতে তৃতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। এই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) চলতি মাসের সংস্করণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্কহার ২০২৪ সালে ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৩০ এর দশকের মহামন্দার পর সর্বোচ্চ। এ কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একই সময়ে ভুটানের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ এবং ভারতের সাড়ে ৬ শতাংশ, যা যথাক্রমে দ্বিতীয় ও প্রথম অবস্থান। অপরদিকে, আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে সবচেয়ে কম, মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা পাবে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। বিপরীতে, কাজাখস্তানে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের অবকাঠামোগত বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে ২০২৫ সালের জন্য মধ্য এশিয়ার পূর্বাভাস সংশোধিত করা হয়েছে। তবে, ২০২৬ সালের পূর্বাভাস কমানো হয়েছে প্রাথমিকভাবে আজারবাইজানে হাইড্রোকার্বন উৎপাদন হ্রাসের কারণে।

আরও পড়ুন:

দক্ষিণ এশিয়ায় কমবে মূল্যস্ফীতি, তবুও শীর্ষে থাকবে বাংলাদেশ 

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ফিরবে পাচারের অর্থের একটি অংশ 

এডিবি সতর্ক করে বলেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা ও নীতি বাস্তবায়নে অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধিতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এজন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশ। পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়নকে এর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে রপ্তানি খাত চাপের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে এতে।

এমওএস/এসএনআর/জেআইএম