পটুয়াখালীতে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাফিকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ৮ মাসেও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাফি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের কাফির বাড়িটি পরিদর্শন করেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দীন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহসিন উদ্দিন বলেন, প্রায় আটমাস আগে পুড়ে যাওয়া এই ঘরটিকে আজকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করতে এসেছি। প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসন তাকে সামান্য কিছু সহযোগিতা করেছে। তবে তার ঘরটি পুড়ে গেছে। এ বিশাল ক্ষতির বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবো, যাতে তিনি তার এই ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
তবে দীর্ঘ আট মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কাফি। তিনি বলেন, আমি জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে আমার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও সরকারের কোনো সহযোগিতা মেলেনি। প্রশাসনের লোকজন আসছেন, আমি এখন অপেক্ষা করছি আমার ক্ষতিপূরণের জন্য।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে কাফির বাড়িটি দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। আগুন লাগার সময় কাফির বাবা-মাসহ স্বজনরা বাড়িতে থাকলেও তারা নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাৎ হাওলাদার (২২) ও মাহফুজ মোল্লা (২১) নামের দুই যুবক বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। কাফির দাবি, যারা ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণেই এই কাজ করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/কেএইচকে/এএসএম