পূজার ছুটিতে ফাঁকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। বন্ধ রয়েছে ডাইনিং-ক্যান্টিনসহ ক্যাম্পাসের হোটেলগুলোও। ফলে খাদ্য সংকটে পড়েছে ক্যাম্পাসের পশুপাখিগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুধার্ত এসব প্রাণীর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের প্রার্থীরা। গত চার দিন ক্যাম্পাসের কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে রান্না করা খাবার দিচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুধার্ত কুকুর-বিড়ালগুলোকে খাবার খাওয়াতে দেখা যায় ছাত্রদল মনোনীত এই প্যানেলটির প্রার্থীদের।
প্যানেলটির প্রার্থীরা জানান, গত চার দিন ধরে তারা ক্যাম্পাসের ক্ষুধার্ত পশুপাখিদের জন্য রান্না করা খাবার সরবরাহ করছেন। খাবারের মধ্যে রয়েছে ভাত, খিচুড়ি, মাংস, বিস্কুটসহ পুষ্টিকর খাবার। ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। পাশাপাশি, তারা অসুস্থ ও আহত প্রাণীদের জন্য ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেসিয়ামের সামনে কুকুর-বিড়ালকে খাবার খাওয়াতে দেখা যায় ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের বিতর্ক ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুম বিল্লাহকে। তিনি বলছেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পশুপাখিগুলো সবথেকে বেশি বিপাকে পড়েছে। আমরা গত ৪ দিন ধরে পশুপাখিদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত আমরা পশুপাখিদের পাশে থাকবো।
প্যানেলটির পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. আর-রাফি (রাফি) এই উদ্যোগকে তার ইশতাহারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে ক্যাম্পাসের পশুপাখিদের জন্য কাজ করবেন। তিনি ডাইনিং-ক্যান্টিন মালিকদের উচ্ছিষ্ট খাবার বিক্রি না করে পশুপাখিকে দেওয়ার জন্য করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল মনোনীত এই প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কোনো উচ্ছিষ্ট খাবার পাচ্ছে না ক্যাম্পাসে কুকুর-বিড়ালগুলো। সেই জায়গা আমরা এসব প্রাণীর পাশে দাঁড়িয়েছি। তারাও আমাদের সমাজের অংশ। তিনি ক্যাম্পাসের ক্ষুধার্ত পশুপাখির পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, কোনো প্রশংসা পাওয়ার জন্য নয়, বরং মানবিক সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল এই উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি মনে করেন, উচ্ছিষ্ট খাবার না পেয়ে পশুপাখিগুলোর প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থায়, তাই তাদের পাশে সবারই দাঁড়ানো উচিত।
মনির হোসেন মাহিন/কেএইচকে/জেআইএম