সুরাইয়া ইয়াসমিন সুমি
প্রকৃতি আমাদের মনের অবিচ্ছেদ্য অংশজুড়েই বিরাজমান। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে আমি আর বান্ধবী গেলাম খুলনার ময়ূরী আবাসিকে। শরতের এই সময় শুভ্রতা নিয়ে চারদিক সাদায় ভরে যায়। অনেক দিন ধরে যাবো যাবো করেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। অবশেষে গেলাম আমরা।
সকাল সাড়ে ১১টায় ঠিক করলাম যাবো। অবশেষে দুজন মিলে বেরিয়ে পড়লাম দুপুর ২টায়। আমি অটোতে উঠলাম বয়রা বাজার যাবো বলে। কারণ সেখানে অপেক্ষা করবে বান্ধবী। জনপ্রতি ১৫টা করে নেয় ভাড়া। যখন বয়রা বাজার এলাম, তাকে দেখে ভালো লাগছিল। দুজন আবার অটোতে উঠে পড়লাম। সোনাডাঙা যাবো। জনপ্রতি ১০ টাকা করে ভাড়া।
দুজন কোনো কিছু না পেয়ে রিকশা নিয়ে গেলাম ময়ূরী আবাসিকের দিকে। যাওয়ার পথের রাস্তা পাহাড়ের মতো খাদ, কোথাও উঁচু কোথাও ভঙ্গুর। আমরা হাসতে হাসতে শেষ। অবশেষে পৌঁছে গেলাম কাঙ্ক্ষিত লোকেশনে। অসাধারণ সৌন্দর্যে যেন মন পুলকিত করে তুলেছিল। সাদার মাঝে নীল, অপরূপ দৃশ্য। চারদিকে তাকালেই সাদা আর সাদা। অনেক মানুষের আনাগোনা।
আরও পড়ুনসিলেটের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ভ্রমণ প্রকৃতির ক্যানভাসে আঁকা মধুপুর
আমরা কাশফুল কেটে নিলাম, যারা আগাছা পরিষ্কার করে তাদের কাছ থেকে। তারপর দুজন মিলে ঘুরেফিরে দেখলাম। এত বিশাল জায়গা যেন শেষ হতে চায় না। আমরা ছবি তুললাম স্মৃতি ধরে রাখতে। শাড়ি পরে অনেকে এসেছিলেন। তাদের সুন্দর লাগছিল। সেখানে একটাই খাওয়ার জায়গা ছিল। প্রথমে আইসক্রিম খেলাম। তারপর ঝাল ঝাল কিছু না খেলে হবে না। পরে চটপটি নিলাম। প্রতি প্লেট ৪০ টাকা।
আমরা সেখানের ছোট পার্কে বসে ছিলাম। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। ফিরতে হবে নীড়ে। সন্ধ্যা হয়ে এলে লোকজনও কমে যায়। আমরাও ধীরে ধীরে বেরিয়ে পড়লাম। বান্ধবীর স্বামী এসেছিলেন নিতে। তিনি রিকশা নিলেন। ভাড়া ৬০ টাকা গুনতে হলো। আমরা ফিরে এলাম যার যার ঠিকানায়। দিনটি অন্যরকম সুন্দর ছিল। মুহূর্তটা অসাধারণ।
লেখক: শিক্ষার্থী, অনার্স ৩য় বর্ষ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, সরকারি বিএল কলেজ, খুলনা।
এসইউ/জিকেএস