ধর্ম

বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল হলে বরকতের দরজা খুলে যায়: শায়খ আল জুহানী

মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব বিশিষ্ট আলেম ও কারি শায়খ ড. আবদুল্লাহ আওয়াদ আল জুহানী বলেছেন:

বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্বশীল হলে আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হন। কল্যাণ ও বরকতের দরজা খুলে যায়। দোয়া কবুল হয়। রিজিক ও আয়ু বৃদ্ধি পায়।

মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক প্রসারিত হোক, আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

বাবা-মায়ের প্রতি সম্মান ও দায়িত্বশীলতা উত্তম চরিত্র, নৈতিকতা ও পূর্ণতার আলামত। যে ব্যক্তি বাবা-মাকে সম্মান করে, সে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে, জান্নাতের নিকটবর্তী হয়।

সন্তান বাবা-মাকে যত সম্মানই করুন, তাদের প্রতি যত বেশি ইহসানই করুক, সে তাদের হক পূর্ণরূপে কখনোই শোধ করতে পারে না। 

মহানবীর (সা.) সম্মানিত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে ওমরকে (রা.) এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিল, আমি আমার মাকে কাঁধে বহন করে খোরাসান থেকে মক্কায় গিয়েছি, তাকে কাঁধে নিয়েই হজের সবগুলো বিধান সম্পন্ন করেছি; আমি কি তার হক আদায় করতে পেরেছি? ইবনে ওমর (রা.) উত্তর দিয়েছিলেন, না, জন্মের সময় এক মুহূর্তের প্রসববেদনার সমানও নয়।

একজন মুসলমানকে অবশ্যই বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়া থেকে সাবধান থাকতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক—যার বাবা-মা উভয়ে বা তাদের একজন বার্ধক্যে উপনীত হয়, অথচ সে তাদের সেবা করে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না। (সহিহ মুসলিম)

সূত্র: ইনসাইড দ্যা হারামাইন

ওএফএফ