সাহিত্য

চারুকলার ৫০তম ব্যাচের ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী

নিজেদের কাজ নিয়ে জয়নুল গ্যালারিতে ৫ দিনব্যাপী এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন চারুকলা অনুষদের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। মোট ২৬ জন শিল্পীর আঁকা ৩৬টি শিল্পকর্ম নিয়ে চলছে এই প্রদর্শনী। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী অধ্যাপক ফরিদা জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন নাজমুন আক্তার, মুহাম্মদ আলী সাগর, মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, দেওয়ান আতিকুর রহমান,মোহাম্মদ ফেরদৌস খান শাওন, সাব্বির আহমেদ, তাহমিনা হাফিজ লিসা, শামীম আকন্দ, সুশান্ত কুমার সাহা অনুপম, মারুফা আহমেদ, মোঃ মশিউর রহমান মোর্শেদ, নাজিয়া মাসুদ খান, উত্তম কর্মকার, শেখ আনোয়ার আমজাদ হোসেন মানিক, শাহিদা হোসেন শিউলী, শারমিন ফাতেমা, কানিজ সালমা আঁখি, ফাতিমা-তুজ-জোহরা মালা, নুরুন নাহার রোজী, শামীম আক্তার, পলি রানী কর্মকার, অরা ওফেলিয়া, রেশ রহমান, রামিন দেওয়ান, মুনতাজার আকন্দ সায়হান, শেখ ওয়াফি নাশি।

শিল্পী ফরিদা জামান বলেন, এই যে একাডেমিক শিক্ষা শেষের এত বছর পর তোমরা বন্ধুরা আবার এক হতে পেরেছ। নিজেদের কাজ নিয়ে, পরিবারের অনেককে সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী করতে পারছ, এটাই শিল্পের শক্তি। একজন শিল্পী শুধু কাজ নিয়েই নয়, তার চিন্তা-চেতনাসহই শিল্পী হয়ে উঠে।

জাহিদ মুস্তাফা বলেন, ৫০তম ব্যাচের এই প্রদর্শনীর আমি সাফল্য কামনা করছি। এখানে কিছু কাজ একাডেমিক পর্যায়ের হলেও কিছু কাজ বিষয় নির্বাচন, শৈলী ও বিন্যাসে শিল্পীর নিজস্বতার পরিচয় হয়ে উঠেছে।

প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিল্পীরা পেশাগতভাবে যুক্ত আছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এখানে যেমন রয়েছেন ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট, আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কেউবা স্কুল শিক্ষক। আছেন বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্নধারও। দৈনিক পত্রিকা কিংবা টেলিভিশনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন কেউ কেউ। ফলে পেশাগত ভিন্নতার কারণে তাদের চিন্তার ধরন কিংবা কাজের প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন। যার ছাপ প্রদর্শনীটি ঘুরলেই স্পস্ট হয়ে উঠে।

প্রদর্শনীতে যেমন রয়েছে একাডেমিক ধারার কাজ। তেমনি বিমূর্ত ধারার কাজও রয়েছে। আবার এক্সপেরিমেন্টাল কাজও রয়েছে। ফলে প্রদর্শনীটিকে কোনো নির্দিষ্ট একটা ছকে ফেলা যাবে না। বরং বৈচিত্র্যের ভিন্নতাই এই প্রদর্শনীর বৈশিষ্ট্য।

এমআইএইচএস/এমএস