দেশজুড়ে

কুমেক হাসপাতালে ওষুধ কেনায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওষুধ কেনায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান।

রোববার (৫ অক্টোবর) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভিযান ও অনুসন্ধান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় কোটি কোটি টাকার অনিয়ম- এমন তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলে তার সূত্র ধরে সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা কার্যালয়ের একটি দল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালায়। এ সময় তারা পরিচালক কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র, ওষুধের স্টোর রুমের মজুদ এবং কেনাকাটা সংক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলেন।

এছাড়াও অনিয়মের বিষয়ে তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজ এর কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং নথি তলব করেন।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, তিনটি ওষুধ কেনাকাটায় কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে যে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন করা হবে।

সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় পেনথোটাল সোডিয়াম ইনজেকশন কিনতে ১০১ টাকার ক্রয় খরচের বিপরীতে ১২৯৯ টাকা খরচের অনিয়ম উঠে আসে। এতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ, কুমিল্লা মহানগর ড্যাব সভাপতি এম এম হাসান, হাসপাতাল পরিচালকের ও প্রধান সরকারি দেলোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় তাদের অপসারণের জন্য দাবিও তোলে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। অনিয়মের ঘটনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতৃবৃন্দের নাম সংশ্লিষ্ট থাকায় কেন্দ্র থেকে এ সংগঠনটির কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/এমএস