রাজনীতি

‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ প্রশ্নের ব্যাখ্যায় যা বললেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে বাংলাদেশ ‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ ইস্যু নিয়ে খোলামেলা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দুর্নীতি প্রশ্নে বিএনপি ভোটারদের কীভাবে আশ্বস্ত করবে সে বিষয়েও নিজের মতামত তুলে ধরেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় বিবিসি বাংলা তারেক রহমানকে প্রশ্ন করে-বিগত যখন বিএনপি সরকারে ছিলো তখন অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিলো, তার মধ্যে একটা বড় বিষয় ছিলো দুর্নীতির অভিযোগ। সরকারে যারা ছিলেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বা সেই সময় যেভাবে দুর্নীতি হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায়। আপনার নিশ্চয় মনে আছে যে দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে তখন অনেক সমালোচনা হয়েছিলো। এ ধরনের পরিস্থিতি যে আর হবে না এ বিষয়ে আপনি ভোটারদেরকে কিভাবে আশ্বস্ত করবেন?

জবাবে তারেক রহমান বলেন, দেখুন আপনি যে কথাটি বললেন দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ছিলো সেই সময়। আমরা ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরে সরকার নির্বাচনের পর ১০ অক্টোবর সরকার গঠন করি সম্ভবত। এর বোধহয় কিছুদিন পরে একটি সূচক বের হলো টিআইবির। মানে দুই তিন মাস পরে বোধহয় একটি সূচক বের হলো। নিশ্চয়ই মাত্র নির্বাচিত একটি সরকারের পক্ষে তো ভালোমন্দ কোনো কিছুই তিন মাসে করা সম্ভব নয়।

তারেক রহমান আরও বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই যে সূচকটি হয়েছিলো, সেটি আমাদের আগে যে সরকারটি ছিলো তারা ৫ বছর যা করেছে তার ওপর ভিত্তি করেই সেই সূচকটি তারা তৈরি করেছে। আপনি যদি ২০০১ থেকে ২০০৬ অর্থাৎ বিএনপি সরকারের সময়, টিআইবি নামক সেই সংস্থার রিপোর্টটি যদি আপনি দেখেন, তাহলে দেখবেন পর্যায়ক্রমিকভাবে কিন্তু নেমে এসেছে।

ভোটারদের আশ্বস্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, হ্যাঁ, পুরোপুরি হয়তো আমরা করতে (দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ) পারিনি। বাস্তবতা তো বুঝতে হবে। এটি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমি এখন যতো কথাই বলি না কেন বাস্তবতা হচ্ছে, এই বিষয়টি যেহেতু সময় লাগবে আমাদের কাজ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। সেজন্যই আমি ভোটারদের এতটুকু বলতে পারবো, আমরা যদি সুযোগ পাই, জনগণ যদি আমাদের সেই সুযোগ দেন, তাহলে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। যাতে আমরা এমন একটি অবস্থা তৈরি করতে পারি যেখানে বিশ্বের অন্য দেশের সামনে কিছুটা হলেও সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারি।

এমএমকে/জিকেএস