আগের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে মাত্র ৬৯ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকান নারী ক্রিকেটাররা। হেরেছিল ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সেই দলটিই নিউজিল্যান্ডকে পেয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটালো। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কিউই নারীদের তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। প্রোটিয়াদরে প্রথম জয় হলেও, নিউজিল্যান্ডের এটা দ্বিতীয় হার।
বল হাতে ননকুলুলেকো এমলাবা এবং ব্যাট হাতে তাজমিন ব্রিটস ও সুনে লুয়েসের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কাছেই রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ননকুলুলেকো নেন ৪ উইকেট। অসাধারণ সেঞ্চুরি উপহার দেন তাজমিন ব্রিটস।
ইন্দোরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৭.৫ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয়। অধিনায়ক সোফি ডিভাইন খেলেন ৮৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস। তার সঙ্গে ব্রুক হ্যালিডের ৩৭ বলে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস ছিল উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু এমলাবার ঘূর্ণি আক্রমণে হঠাৎ ধসে পড়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপ। এমলাবা ৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মূল ধাক্কা দেন, আর শেষ দিকে আয়াবোঙ্গা খাকা শিকার করেন টেলএন্ডারদের।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৪০.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ম্যাচের নায়ক ছিলেণ তাজমিন ব্রিটস। ৯৬ বলে ১০১ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন তিনি। এটি ২০২৫ সালে তার পঞ্চম সেঞ্চুরি, যা নারী ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার বছরে সর্বোচ্চ। ব্রিটসের সঙ্গে সুনে লুয়েস গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। লুয়েস শেষ পর্যন্ত ৮১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতেই ধাক্কা খায়। সুজি বেটস টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হন। এরপর মেলি কের (২৩) এবং প্লিমারের (৩১) ধীর ব্যাটিং দলকে চাপে ফেলে। যদিও ডিভাইন (৮৫) ও হ্যালিডে (৪৫) ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন, এমলাবা ও খাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত স্বল্প রানে থেমে যায় কিউই ইনিংস।
এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়াল আগের ম্যাচের লজ্জাজনক হারের পর। আগামী বৃহস্পতিবার তারা খেলবে স্বাগতিক ও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ভারতের বিপক্ষে, ভিশাখাপত্মনমে। আর নিউজিল্যান্ড একই দিনে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের, গুয়াহাটিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :নিউজিল্যান্ড: ২৩১, ৪৭.৫ ওভার (ডিভাইন ৮৫, হ্যালিডে ৪৫; এমলাবা ৪/৪০)।দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৩২/৪, ৪০.৫ (ব্রিটস ১০১, লুয়েস ৮১*; মেলি কের ২/৬২)।ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী, প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ: তাজমিন ব্রিটস।
আইএইচএস/এএসএম