আন্তর্জাতিক

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম জানা যাবে আজ

এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম জানা যাবে আজ। সুইডেনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ১১টা ৪৫ মিনিটে, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) চলতি বছরের প্রথম নোবেল ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ বছর যৌথভাবে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী মেরি ই. ফ্রাঙ্কো ও ফ্রেড র‌্যামসডেল ও জাপানের গবেষক শিমন সাকাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছর ২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই পদার্থবিজ্ঞানী জন জে হোপফিল্ড ও জিওফ্রি ই. হিন্টন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য এই পুরস্কার জিতেছিলেন তারা।

তার আগের বছর ২০২৩ সালে পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। পদার্থবিদ্যায় ২০২৩ সালের নোবেলজয়ী তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে রসায়নে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় সাহিত্যে ও শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম।

চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, অর্থনীতি, শান্তি- এই ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম থেকে ঘোষণা হবে চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম। শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে নরওয়ে থেকে।

পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেওয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আলফ্রেড নোবেলের উইলে পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কারের কথা থাকলেও অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল না। ১৯৬৮ সাল ‘দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের’ নেওয়া এক বিশেষ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইট

এসএএইচ