দেশজুড়ে

মাদরাসার মাঠে জলাবদ্ধতা, পানি মাড়িয়ে করতে হয় ক্লাস

নাটোরের গুরুদাসপুরে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ধারাবারিষা খাকড়াদহ দাখিল মাদরাসার। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার মান ভালো হলেও ৪৯ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। জলাবদ্ধতার কারণে মাদরাসাটির খেলার মাঠে সাঁতার কাটে হাঁস, ভেসে বেড়ায় কচুরিপানা। এই পানি পেরিয়েই আবার ক্লাসে যান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদরাসা ভবনের ছাদ ফেটে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। মাঠ নিচু হওয়ায় পানি জমে আছে। টিনশেডের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ মাঠের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কোথাও গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নেই। অতিকষ্টে শহীদ মিনার ঘেঁষে কয়েকটি সাইকেল ও মোটরসাইকেল রাখা হয়েছে। আর পানি পেরিয়ে কাদায় মাখা পা নিয়েই প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় ও ক্লাসরুমে ঢুকতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

মাদরাসার শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া ও তন্নি আক্তার বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে যায়। ফলে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হতে পারি না। জলাবদ্ধতার কারণে মাদরাসার শ্রেণিকক্ষে আবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। মাঠের ঘাস ও আগাছা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চারপাশে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে মশা-মাছি বংশবিস্তার করছে। এতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত নিয়েও আমরা চিন্তিত। অনেকে চর্মরোগ ও এলার্জিতে ভুগছেন। আমরা দ্রুত মাদরাসার মাঠে মাটি ভরাট করে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

মাদরাসার অধ্যক্ষ ওসমান গনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পাশের সড়ক ও বাড়িঘরের পানি এসে মাদরাসার মাঠে জমে। ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না। মাদরাসার মাঠ উঁচু না করা হলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে। ভারী বৃষ্টি বা বর্ষা হলে মাঠের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আকতার বলেন, মাদরাসা মাঠটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

রেজাউল করিম রেজা/এনএইচআর/এমএস