বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম এবং অন্যান্য অধিকারকর্মী ও চিকিৎসকদের বহনকারী ‘কনশান্স’ জাহাজ আটকের খবর নিশ্চিত করেছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা। এক বিবৃতিতে গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের কনভয়ে আক্রমণ করেছে এবং গাজার দিকে যাত্রা করার সময় বেশ কয়েকটি জাহাজকে আটক করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যাওয়ার পথে কমপক্ষে দুটি নৌকায় উঠে পড়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার (৮ অক্টোবর) অন্তত তিনটি জাহাজ আটক করেছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, গাজা সানবার্ডস, আলা আল-নাজ্জার ও আনাস আল-শরীফ নামের তিনটি জাহাজে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে লোকজনকে আটক করা হয়েছে। গাজা উপকূল থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে বুধবার ভোরের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানিয়েছে।
‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজেও আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই জাহাজে শহিদুল আলমসহ ৯০ জনের বেশি সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মী ছিলেন।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, আটককৃত নৌবহরগুলোতে গাজার ক্ষুধার্ত হাসপাতালগুলোর জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, শ্বাসযন্ত্রের সরঞ্জাম ও পুষ্টিসামগ্রী ছিল।
গত কয়েক মাসে ইসরায়েল গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করা একাধিক আন্তর্জাতিক সহায়তা বহরকে বাধা দিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এ অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল একই সংগঠনের প্রায় ৪৫টি জাহাজ আটক করেছিল। এসব জাহাজে রাজনীতিক ও অধিকারকর্মীদের পাশাপাশি সুইডেনের জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। ওই ঘটনার পর ইউরোপজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
এদিকে বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আমাদের সাগরে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, গাজায় গণহত্যা চালাতে যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তি সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি।
টিটিএন