খেলাধুলা

দেশে ফিরেই তামিম বললেন, এটা কোনো নির্বাচনই হয়নি

যত হইচই‘ই হোক কিংবা সমালোচনার ঝড়ই বয়ে যাক না কেন, কি হবে তা অনুমেয়ই ছিল। আমিনুল ইসলাম বুলবুল সভাপতি হবেন এবং তার পক্ষের নিরঙ্কুশ বিজয় হবে। তা জানাই ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।

নির্বাচনের আগে ও পরে যাই ঘটুক, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে কোন বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই। ফল নিষ্পত্তিও সম্পন্ন। বিসিবির নতুন পরিচালক পর্ষদও গঠিত হয়েছে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রত্যাশিতভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ২০তম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

কয়েক মাস আগে যার জায়গায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বিসিবি প্রধানের চেয়ারে বসেছিলেন বুলবুল , সেই ফারুক আহমেদ হয়েছেন সিনিয়র সহ সভাপতি। আর বরিশাল থেকে জিতে আসা সাখাওয়াত হোসেন হয়েছেন আরেক সহ-সভাপতি। এনএসসির একজনের মনোনয়ন বিতর্ক ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদও হয়েছে চূড়ান্ত। ওয়ার্কিং কমিটিসহ মোট ২৪টি স্ট্যান্ডিং কমিটিও গঠিত হয়েছে। এক কথায় দফতর বন্টনের কাজও সম্পন্ন।

এদিকে বিসিবি নির্বাচনের দুদিন পর আজ আবার সরব হয়েছে তামিমপন্থিরা। গুলশানে এক হোটেলে ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে আবারও সেই ঢাকার ক্লাবগুলোর লিগ বয়কটের পুরনো ঘোষণাই নতুন করে এসেছে। মোহামেডান ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির প্রধান ও সিসিসিডিএমর সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান বুধবার দুপুরেও ঝাঁঝালো কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের প্রতিবাদে ক্লাবগুলো সোচ্চার। সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট আসর বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন মোহামেডানের এই কর্মকর্তা। এদিকে বিসিবি নির্বাচন থেকে বয়কট করে দুবাই চলে যাওয়া তামিম ইকবাল দেশে ফিরে আবার মুখ খুলেছেন। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক জানান, এটা কোনো নির্বাচনই ছিল না।

তামিমের কথা, ‘আমার বক্তব্য পরিস্কার। আমি মনে করি না, যে এটা কোনো ইলেকশন ছিল। যেভাবে জিনিসগুলো ঘটেছে- আমি ছোট্ট একটা পয়েন্ট ধরিয়ে দিতে চাই। আমি যেহেতু দেশের বাইরে গিয়েছিলাম, তাই ই-ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলাম। মিডিয়ায় দেখতে পাই, আমার ভোট নাকি কাস্ট হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এরপর ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেই এবং নির্বাচন কমিশনকে একটা ই-মেইল দেই। সেখান থেকে গতকাল আমাকে জানানো হয়, আমার ভোট কাস্ট হয়নি।’

তামিম যোগ করেন, ‘দ্বিতীয়ত আমি যদি ভুল না করি, তাহলে নির্বাচনে ৪২ বা ৪৩টা ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি ভোটই ছিল ই-ভোট। আপনি সেন্টারে যেতে না পারলে ই-ভোটিংয়ের সুবিধা নিতে পারেন। কিন্তু ৩৪টি ই-ভোট দেওয়া প্রত্যেকেই সেদিন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল! ১২জন যারা ডিরেক্টর হয়েছেন, তারা প্রত্যেকে ই-ভোট কাস্ট করেছে। এটার মোটিভ কী? উনাদের কাজকর্মেই কিন্তু এসব প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রেই আছেন, তাহলে ই-ভোটিংয়ের প্রয়োজনটা কী?’

সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মাসুদুজ্জামান জানান, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে তারা বৈধ সভাপতি হিসেবে মানেন না। তার ভাষায়, ‘আলোচনার কিছু নাই। আমরা নির্বাচনটাই মানছি না। উনি (বুলবুল) অবৈধ হয়েছেন। আমাদের হিসেবে তিনি অবৈধ।’

এআরবি/আইএইচএস/