লাইফস্টাইল

চোখে কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন

বর্তমান সময়ের কর্মব্যস্ততা, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ ও বয়সজনিত কারণে চোখের নানা সমস্যা বেড়েই চলেছে। চোখের সমস্যায় চিকিৎসা নিতে দেরি করা উচিত নয়। সাধারণ সমস্যার আড়ালেই লুকিয়ে থাকতে পারে চোখের জটিল কোনো সমস্যা।

চোখের সমস্যা, প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও দৈনন্দিন জীবনে চোখ সুরক্ষার নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন কনসালটেন্ট, আইডিয়াল আই কেয়ার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘লাভ ইওর আইস অ্যাট ওয়ার্ক’ বা ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’। কর্মক্ষেত্রে আমাদের চোখ সুরক্ষিত রাখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: চোখ সুরক্ষিত রাখতে হলে আগে জানতে হবে কি কি কারণে দৃষ্টি বিপন্ন হয়। দৃষ্টির সমস্যা কি কি কারণে হতে পারে, তা জানা জরুরি। কর্মক্ষেত্রে আমাদের চোখ সুরক্ষিত রাখতে এবং ডিজিটাল আই স্ট্রেন বা অন্যান্য ঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনের সামনে কাজ করেন, তাদের প্রতি ২০ মিনিট অন্তর, কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড ধরে তাকিয়ে থাকতে হবে।

এতে চোখের পেশিগুলো বিশ্রাম পায় এবং চোখে আর্দ্রতা বজায় থাকে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় আমাদের চোখের পলক ফেলার হার কমে যায়, যা চোখ শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই কাজের ফাঁকে সচেতনভাবে ঘন ঘন পলক ফেলুন। একটানা কাজ না করে মাঝে মধ্যে বিরতি নিতে হবে। এই সময় চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হাঁটুন, হাত-পায়ের পেশিগুলোকে বিশ্রাম দিন। চোখের ওপর চাপ কমাতে কাজের জায়গা এবং ডিজিটাল সরঞ্জামগুলো সঠিকভাবে সেট আপ করা প্রয়োজন।

এয়ার কন্ডিশনার বা ফ্যান থেকে আসা সরাসরি বাতাসের প্রবাহ থেকে চোখ রক্ষা করতে হবে। কারণ এটি চোখকে শুষ্ক করে দেয়। কাজের জায়গায় পর্যাপ্ত এবং সঠিক আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। এছাড়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। খাদ্য তালিকায় জিঙ্ক, লুটেইন, ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি এবং ই যুক্ত খাবার রাখুন। যেমন: সবুজ শাকসবজি, গাজর, টমেটো, বাদাম, তৈলাক্ত মাছ ইত্যাদি।

চোখের সমস্যা শুরুর আগে নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে চোখ পরীক্ষা করতে হবে। ধূলা, রাসায়নিক পদার্থ, তীব্র আলো বা উড়ন্ত বস্তু বা কণার বিরুদ্ধে চোখকে রক্ষা করার জন্য সর্বদা উপযুক্ত নিরাপত্তা চশমা পরিধান করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে সহজেই দৃষ্টিকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

জাগো নিউজ: চোখে কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: চোখে যে কোনো ধরনের আঘাত লাগলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অনেক সময় চোখে ছোট একটা কণা পরতে পারে। এতে তাৎক্ষণিক বেশি সমস্যা হয় না। দুই থেকে তিন দিন পর দেখা যায় চোখে ঘা শুরু হয়েছে। এ ঘা-টাই কর্নিয়া নষ্ট করে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

গ্রামে কৃষকের কৃষিকাজের সময় ধান বা অন্য ফসলের আঘাত চোখে লাগতে পারে। তখন সে পানি বা অন্য কিছু ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক কিছু একটা করে। চোখে তখন বার বার চুলকানি হয়। দেখা গেলো দু-তিনদিন পরও চোখ ঠিক হয় না। তখন সে স্থানীয় বাজারে গিয়ে ফার্মেসি থেকে একটা ড্রপ নেন। দিন দুয়েক পর এতেও কাজ হয় না।

একসময় চোখে ঝাপসা দেখতে পান। তখন তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেসময় দেখা যায় ঘা হয়ে কর্নিয়া আলসার হয়ে যায়। এতে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে অন্ধত্ব বরণ করার ঝুঁকি রয়েছে। আবার অনেক সময় আঘাত লেগে কেটে গেলেও তাৎক্ষণিক চিকিৎসককে দেখাতে হবে।

আরেকটা সমস্যা হতে পারে গ্লুকোমা। এটি হঠাৎ অ্যাটাক করে অল্প সময়ের মধ্যে চোখের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারে। 'ন্যারো অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা' হলে তাৎক্ষণিক ডাক্তার কাছে যেতে হবে।

জাগো নিউজ: চোখে গ্লুকোমার প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে বলুন? গ্লুকোমা হলে কি ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: চোখে অনেকেরই গ্লুকোমা হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে যেমন রক্তচাপ আছে। তেমনি চোখে একধরনের পেশার হয়। এটাও মাঝে মাঝে বাড়ে। রক্তচাপ বাড়লে বলা হয় হাইপারটেনশন, আর চোখের চাপ বাড়লে বলা হয় গ্লুকোমা। গ্লুকোমার বিষয়টা যদি কারও জানা না থাকে তবে চোখের স্নায়ু নষ্ট হয়ে একসময় চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য রোগীর চোখের প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

কিছু গ্লুকোমা আছে ব্যথা নেই, তাই বোঝা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে গ্লুকোমার শেষ ধাপে এসে আর চোখে দেখবে না। এ কারণে প্রথমদিকে গ্লুকোমার চিকিৎসা করতে হবে। তাহলে প্রতিরোধ করা যাবে। এজন্য চোখের স্ক্রিনিং (চোখের রোগ শনাক্তকরণ) টেস্ট করলে যদি গ্লুকোমা ধরা পড়ে, তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

জাগো নিউজ: বর্তমানে অনেকেই প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে। দীর্ঘক্ষণ স্কিনে কাজ করলে চোখের সুরক্ষায় কী করা উচিত?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: যারা পড়াশোনা বা কর্মক্ষেত্রে আছেন তাদের দীর্ঘ সময় ডিভাইস বা স্ক্রিনে কাজ করতে হয়। ল্যাপটপের স্ক্রিনে কাজের সময় যে রেডিয়েশন তৈরি হয়, এতে চোখের সমস্যা হয়। তবে সারাদিন কাজ করার পর রাতে ভালোভাবে ঘুমালে, এ সমস্যা কেটে যায়। তবে অনেকে রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। আবার কারও ফ্রিল্যান্সিং করতে রাত জাগতে হয়।

ঘুম কম হলে তখন চোখে ব্যথা হয়, চোখ লাল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। এজন্য স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে। এছাড়া স্ক্রিনিংয়ের সময় প্রোটেকশন নিতে হবে। আলট্রা ভায়োলেট (ইউভি) প্রোটেক্টিভ গ্লাস ব্যবহার করতে হবে। রিফ্রেকটিভ এরর থাকলে চশমা পরতে হবে।

তবে চশমার পাওয়ার ঠিক না থাকলে মাথাব্যথা বা চোখ ব্যথা হতে পারে। এজন্য চশমার পাওয়ার ঠিক করা এবং স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনতে হবে। একনাগাড়ে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি যে কোনো সময় ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম পূরণ করতে হবে।

জাগো নিউজ: শিশুদের মধ্যে স্বল্পদৃষ্টি রোগের প্রকাপ দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই প্রবণতা রোধে কী করণীয়?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: শিশুদের ক্ষেত্রে ‘রিফ্রেকটিভ এরর’ বা চোখের পাওয়ারে সমস্যা থাকলে, তারা চোখে কম দেখে। একজন শিশু যদি চোখে স্বল্প বা কম দেখে তবে সে ক্লাসে তার ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা এবং দূরের জিনিস কম দেখবে। তখন তার মনোযোগ হারাবে এবং শেখার চেষ্টা কমে যাবে।

এজন্য স্কুল শুরুর আগেই তার চোখের পরীক্ষা করতে হবে। এ সমস্যা হলে আলো ঠিকমতো রেটিনায় ফোকাস হয় না। এ কারণে শিশু ঝাপসা দেখে। পরীক্ষায় ‘রিফ্রেকটিভ এরর’ ধরা পড়লে তাকে চশমা দিতে হবে। চশমা ব্যবহারের ছয় মাস বা এক বছর পরপর পরীক্ষা করে চশমা পরিবর্তন করতে হবে।

জাগো নিউজ: ডায়াবেটিস ও চোখের সম্পর্ক নিয়ে বলুন। ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের যত্নে বিশেষ কোনো নির্দেশনা আছে কি?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষের ডায়াবেটিস দেখা যায়। কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু ছানির সমস্যা হয় জীবনের শেষ দিকে অথবা রিটায়ার্ড হওয়ার পরের সময় থেকে। ডায়াবেটিস চোখের রেটিনায় ক্ষত সৃষ্টি ও দৃষ্টিতে সমস্যা করে। এ সমস্যাটা একেবারে স্থায়ী, একবার হলে আর পুনরুদ্ধার করা যায় না। এক্ষেত্রে আগে থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা, লিভিং স্টাইল পরিবর্তন করা, খাদ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কায়িক পরিশ্রম বাড়াতে হবে। এই কাজগুলো দীর্ঘদিন বা সারাজীবন শৃঙ্খলার মধ্যে করে যেতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত চোখের চিকিৎসা নিতে হবে।

কিছু কিছু চিকিৎসা সময় মতো নিলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকার পাশাপাশি কোলেস্টেরলসহ অন্য রোগ থাকে, তবে অল্প সময়ের মধ্যে চোখ আক্রান্ত হয়। কারও ডায়াবেটিস থাকলে চোখে সমস্যার বিষয়টা জানতে হবে। না জানতে পারলে রোগী শুধু ওষুধ ও ইনসুলিন নেবে। একসময় তার চোখে সমস্যা হবে। কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকবে না। তবে প্রতিরোধের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, জীবনশৈলীতে পরিবর্তন আনা এবং নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করতে হবে।

জাগো নিউজ: বয়সজনিত চোখের সমস্যা যেমন 'ম্যাকুলার ডিজেনারেশন' এবং 'ছানি' রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বলুন—

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: মানুষের মধ্যে বার্ধক্য চলে আসলে ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ সমস্যা দেখা যায়। চোখের স্নায়ুর হেডকোয়ার্টার থাকে একে বলে ম্যাকুলা। বয়সজনিত কারণে ম্যাকুলা ক্ষয় হতে থাকে। সারাজীবন ধরেই এই ক্ষয় চলমান থাকে। তবে পুনরুদ্ধারও হয়। বয়স বেশি হলে পুনরুদ্ধার ক্ষমতা কমে যায়। তখন সে জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়। একে বলা হয় ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’। এটি প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণত সবজির আইটেমগুলোতে থাকে। এছাড়া ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। এ সমস্যা সমাধানে আগে থেকেই খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য লিভিং স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া বার্ধক্যের দিকে গেলে মানুষের ছানির সমস্যা হয়। আমাদের দেশে প্রধান সমস্যা হলো চোখে ছানি পরা। ছানি পরলে চোখ অবশ্যই অপারেশন করতে হয়। এরপরে চোখে ল্যান্স বসাতে হয়। অনেকেই ব্যস্ততার জন্য ডাক্তার দেখাতে পারেন না, আবার অনেকে সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসা করতে পারেন না। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালে বিনা বা স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর জানা নেই। তবে সব কিছুর বাইরে চোখের সুরক্ষার জন্য ছানির অপারেশন করা উচিত।

জাগো নিউজ: ঋতু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে চোখে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হয়। এই সমস্যা প্রতিরোধে কি করা যায়?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: ফুলের রেণু, পোষা প্রাণীর লোম বা ত্বকের খসে পড়া অংশ, খুশকি, কসমেটিক বা পারফিউমজাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য, পানি, খাবার এবং অন্যান্য কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। ফুলের রেণুর কারণে সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে অ্যালার্জি হতে পারে। এক্ষেত্রে আলার্জির জন্য চোখের ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। অথবা ওলো পেটাডিনজাতীয় ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে হবে। এসবে কাজ না হলে স্টেরয়েড আই ড্রপ দেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অ্যালার্জি ভালো করতে গিয়ে গ্লুকোমায় যাতে পেয়ে না বসে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু অ্যালার্জি রয়েছে যেগুলো সারাবছর কমবেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যালার্জি নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। চোখ ফুলে থাকলে চোখের ড্রপ বা ট্যাবলেট খেলেই হবে।

জাগো নিউজ: চোখ ভালো রাখতে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কোন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি?

অধ্যাপক ডা. মো. ছায়েদুল হক: খাদ্যতালিকার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। সবজির আইটেম বেশি খেতে হবে। এর মধ্যে পালংশাকে চোখের জন্য খুব বেশি উপকারী ভিটামিন পাওয়া যায়। এছাড়া টমেটো, গাজর রয়েছে। ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ভিটামিন-এ বেশি পাওয়া যায় গাজরে। তাই বলা যায়, শাকস-বজিতেই এই ভিটামিনগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এটা শর্করা বা প্রোটিনে পাওয়া যায় না। এজন্য শিশুদের ছোট থেকে এসব খাবারের অভ্যাস করতে হবে। এজন্য লিভিং স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া বাড়িতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি সবজির আইটেম রাখা যেতে পারে।

এসএকেওয়াই/জিকেএস