সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের অভিযোগে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ওই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম বলেন, একটি মীমাংসিত ঘটনাকে অধিকতর তদন্তের নামে তিনটি সিন্ডিকেট সভায় উপেক্ষা করে ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় হঠাৎ শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে জানাতে চায় আমরা তাদের কাছে জিম্মি, কিন্তু আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই আমরা কারো কাছে জিম্মি নই। বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বহিষ্কার প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। যার স্ক্রিপ্ট তৈরি হয় প্রক্টর অফিস থেকে। আমাদের প্রক্টর ডিবি হারুনের মতো স্ক্রিপ্ট বানাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নাট্যমঞ্চ সাজানোর যে চেষ্টা চলছে, তা সাস্টে চলবে না।
এদিকে বুধবারও একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানের গাড়িতে ‘শাবিপ্রবি প্রহসন’ শিরোনামে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টার সেঁটে দেন তারা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি অবগত। তবে সিন্ডিকেট সভা থেকে সিদ্ধান্ত আসে, সেখানে প্রক্টরের কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না। সিন্ডিকেট সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেন। তবে গাড়িতে পোস্টার লাগানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় র্যাগিংয়ের অভিযোগে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসএইচ জাহিদ/আরএইচ/জিকেএস