মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে অভ্যুত্থানচেষ্টার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, আফ্রিকার এই দ্বীপরাষ্ট্রে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফরাসি উপনিবেশ-পরবর্তী এই দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর, যা প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার ২০২৩ সালের পুনর্নির্বাচনের পর থেকে তার শাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
শনিবার প্রেসিডেন্টের ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এলিট সামরিক ইউনিট ক্যাপস্যাট-এর সদস্যরা অন্যান্য সেনাদের নির্দেশ অমান্য করে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
রোববার ক্যাপস্যাট কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, তারা দেশের নিরাপত্তা কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছেন এবং রাজধানী আনতানানারিভোর উপকণ্ঠে অবস্থিত তাদের ঘাঁটি থেকে সেনাবাহিনীর সব শাখাকে সমন্বয় করবেন। তারা জানান, জেনারেল ডেমোস্থেনে পিকুলাস-কে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে কাজ করে আসা জেন্ডারমেরি বাহিনীর একটি ইউনিটও সরকারবিরোধী অবস্থান নেয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রিয়েল টিভি-তে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে ওই বাহিনী জানায়, নাগরিকদের ওপর কোনো ধরনের বলপ্রয়োগ বা অমানবিক আচরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জেন্ডারমেরি জনগণকে রক্ষা করার জন্য, কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়।
তারা আরও জানায়, ক্যাপস্যাট সদরদপ্তরের সঙ্গে তারা সমন্বয় করছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশে অবৈধভাবে ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চলছে। প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা সংকট সমাধানে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে রোববার প্রেসিডেন্টের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার রাতে তার দপ্তর জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণভাবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম