আন্তর্জাতিক

নোবেল না জিতলেও এবার ওবামার পাওয়া পুরস্কার পাচ্ছেন ট্রাম্প

নোবেল না পেলেও এবার ওবামার পাওয়া পুরস্কার পাচ্ছেন ট্রাম্প। গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনে ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নায়কোচিত সংবর্ধনা দিচ্ছে ইসরায়েল। নেসেটে (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) ভাষণের আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ট্রাম্পকে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা প্রদান করবেন। গাজা থেকে বন্দিদের মুক্তি এবং দুই বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসানে তার ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পাচ্ছেন তিনি।

এর আগে, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে একই পুরস্কার দিয়েছিল ইসরায়েল। এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার আগে ট্রাম্পের নামও আলোচনায় ছিল, যে সম্মান একসময় ওবামা পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন>>শান্তি নয়, রাজনৈতিক কারণেই নোবেল পেলেন ‘যুদ্ধবাজ’ মাচাদো?নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পকে উৎসর্গ করলেন মারিয়া কোরিনাকিছু না করেই নোবেল পেয়েছিলেন ওবামা: ট্রাম্প

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কেবল আমাদের প্রিয়জনদের ঘরে ফিরিয়ে আনেননি, বরং নিরাপত্তা, সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের প্রকৃত আশার ওপর ভিত্তি করে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক যুগের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আরও জানায়, এই পুরস্কারটি সেসব ব্যক্তিকে দেওয়া হয় যারা ইসরায়েল রাষ্ট্র বা মানবজাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। হারজগ বলেন, তাকে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের সম্মাননা পদক দিতে পারা আমার জন্য এক বিরাট গৌরবের বিষয়।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে সোমবার ইসরায়েল ও হামাস বন্দি-বন্দি বিনিময় শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ২০ দফার এই শান্তি পরিকল্পনার লক্ষ্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

আরও পড়ুন>>ভারত-পাকিস্তানসহ ৭টা যুদ্ধ থামিয়েছি, আমার ৭টা নোবেল পাওয়া উচিত: ট্রাম্পট্রাম্প কি আসলেই ৭ যুদ্ধ থামিয়েছেন, নাকি শুধুই গলাবাজি?নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন নেতানিয়াহু

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্গুলো ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

এরপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত বিমান ও স্থল হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, সেখানে নিহতের সংখ্যা ৭৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

সংক্ষিপ্ত ইসরায়েল সফরে ট্রাম্প জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন বলে জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে ইসরায়েলগামী ফ্লাইটে ওঠার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ।’ অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয়, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/