ঈদুল ফিতরের বাকি এখনো ১৮ দিন। তবে রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকে সিলেট নগরের থান কাপড়ের দোকানে কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। দর্জিরাও ব্যস্ত ঈদের পোশাক তৈরিতে। ঈদ উপলক্ষে অনেকেই নিজের রুচি ও স্বাচ্ছন্দবোধের জন্য দর্জির (টেইলার্সের) মাধ্যমে পছন্দমতো পোশাকটি তৈরি করিয়ে নেন। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সব বয়সের মানুষের পোশাক তৈরি। সময় মতো কাজ শেষ করা চেষ্টায় ব্যস্ত নগরের তরুণ-তরুণি, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষ। তাই নগরের থান কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়। ঈদের এক সপ্তাহ আগে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেবে অধিকাংশ টেইলার্স। তাই আগেভাগেই নিজের পছন্দ মতো পোষাকটি তৈরি করে নিতে চান তারা।সরেজমিনে ঘুরে সিলেট মহানরের ব্লুওয়াটার, কাকলি, সিটি সেন্টার, মিলিনিয়াম, শুকরিয়া, লতিফ সেন্টার, আল-হামরা, হাসান মার্কেট, মধুবন মার্কেট, সিলেট প্লাজা, ওয়েস্ট ওয়াল্ড ও কানিজপ্লাজায় দেখা গেছে, বিপণিবিতানগুলোতে রেডিমেট পোশাকের পাশাপাশি ক্রেতারা রুচিশীল পোশাক তৈরির জন্য বৈচিত্র্যময় থানকাপড়ও ক্রয় করছেন। এর মধ্যে ব্রকেট, নেট, সুতি কটন, চায়না কটন, মোসলিন টিস্যু, লিলেন, জরজেট স্টেপ, চুড়নি, সিল্ক ও ভয়েল কাপড় বিক্রি হচ্ছে বেশি। তৈরি পোশাকের অলংকরণ ও নান্দনিক ডিজাইনের জন্য ক্রেতারা ক্রয় করছেন বিভিন্ন ধরনের লেইসসহ নানা কারুকার্য।এসব টেইলার্সগুলোতে মজুরি নেয়া হয়, সালোয়ার কামিজ ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, শার্ট ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, প্যান্ট ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ব্লাউজ ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, ব্লেজার ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, ত্রি-পিস কাপড়ের প্রকারভেদ অনুযায়ী ২৫০ থেকে ১২৫০ টাকা, সাফারি ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেয়া হয় ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গর্জিয়াস সেলোয়ারকামিজের মজুরি নেয়া হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পোশাক তৈরির মজুরি বেড়েছে বলে জানা গেছে।নগরের মির্জাজাঙ্গাল মনিপুরি রাজবাড়ি এলাকার উৎসব বুটিক হাউস এর সত্ত্বাধিকারী রুনা বেগম জাগো নিউজকে জানান, আমার বাসায় দোকান। এখানে বুটিকসহ থান কাপড় রয়েছে। ক্রেতারা এখানে কাপড় পছন্দ করে সেলাইয়ের অর্ডারও দিয়ে যাচ্ছেন। অর্ডার ভালোই পাচ্ছেন জানিয়ে রুনা বেগম আরও বলেন, ২০ রমজানের পর আর অর্ডার নেয়া সম্ভব হবে না। কারিগররা দিনরাত কাজ করেও শেষ করতে পারছেন না। অনেক কাপড় জমে আছে। সিলেটে সাধারণত রমজানের মাঝামাঝি সময়ে কাজের চাপ বৃদ্ধি পায়। তবে এবার ব্যতিক্রম।জিন্দাবাজারের রেইনবো টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিক্সের দুলাল জানান, এখনো ঈদের বাজার তেমন জমেনি। তবে দু’একদিনের মধ্যে জমে উঠবে বলে তিনি আশাবাদী।এফএ/এবিএস