আন্তর্জাতিক

স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের, ঝুঁকিতে যুদ্ধবিরতি

স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের, গাজায় এখনো হামলা-অবরোধ অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। এর ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ইসরায়েল আদৌ এই শান্তিচুক্তি মানবে তো?

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজার গাজা সিটি ও দক্ষিণের খান ইউনিসে নিজেদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন>>যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহতইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বোমা বিস্ফোরণে ৩ শিশু আহতকেউ ভাবেনি গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব: ট্রাম্প

এছাড়া, খান ইউনিসে ইসরায়েলের চালানো একটি ড্রোন হামলায়ও হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি।

গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪টি মরদেহ আনা হয়েছে। আহত অবস্থায় এসেছেন আরও ২৯ জন।

নিহতদের মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন, তবে অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি হামরায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯১৩ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৩৪ জন ফিলিস্তিনি।

ত্রাণ আটকে রেখেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েল এখনো মানবিক সহায়তা সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সংস্থাটি জরুরি ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, খাদ্য, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী ও আশ্রয়সামগ্রী— সব কিছুই এখন গাজার বাইরে গুদামে পড়ে আছে। ইসরায়েল এগুলো ঢুকতে দিচ্ছে না। মিশর ও জর্ডানে আমাদের কাছে পুরো গাজার জনগণের জন্য তিন মাসের খাদ্য মজুত আছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলা ও সহায়তা অবরোধের ফলে নবঘোষিত যুদ্ধবিরতি এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।

কেএএ/