গত বছরের প্রথম দিকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ সরকারকে পাঁচটি অত্যাধুনিক প্রিজন ভ্যান উপহার দেওয়া হয়। তবে নানান জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন গাড়িগুলো কেরানীগঞ্জ কারাগারে অচল অবস্থায় পড়ে ছিল।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দেশে অনুদান কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। এ কারণে উপহার পাওয়া এসব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।
আরও পড়ুন: ছবিতে আধুনিক প্রিজন ভ্যানপরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। সে সময় বাংলাদেশ কারা অধিদপ্তরের জন্য দেওয়া পাঁচটি প্রিজন ভ্যানের রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন সম্পন্ন হয়। বর্তমানে গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন শেষ হলেও সেগুলোর বেশিরভাগ এখনো কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখা আছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাঝেমধ্যে এসব ভ্যানের দুই-তিনটি আসামি পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে কাশিমপুর কারাগারে বন্দি স্থানান্তর এবং আদালতে আসামি নেওয়ার সময় এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঅপরাধী দ্রুত শনাক্তে নিয়ামক হয়ে উঠছে সিসিটিভির ফুটেজফেনীতে পুলিশকে পিটিয়ে অস্ত্র-আসামি ছিনতাই
কারা অধিদপ্তরের এআইজি (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রিজন ভ্যানগুলো কেবল ভিআইপি বন্দিদের জন্য নয়। যে কোনো আসামি স্থানান্তরের সময় প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে দুটি গাড়ি কাশিমপুর কারাগারে, দুটি কেরানীগঞ্জে এবং একটি চট্টগ্রাম কারাগারে বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি বলেন, গাড়িগুলোতে উন্নতমানের এসি, জিপিআরএস ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঠেকাতে এমন গাড়ি হতে পারে কার্যকর সমাধান বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কারা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রিজন ভ্যানগুলোর ভেতরে ও বাইরে সিসি ক্যামেরা, জিপিআরএস ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রতিটি গাড়ির অবস্থান রিয়েল টাইমে দেখা যায়। এমনকি দরজা বা জানালা খোলার চেষ্টাও মনিটরে দেখা যায়। এতে করে কেউ আসামি ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
তবে এসব প্রিজন ভ্যান শুধুমাত্র অকটেনে চলাচল করে। এতে পরিচালন ব্যয় তুলনামূলক বেশি। আরেক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা থেকে কাশিমপুর কারাগার পর্যন্ত একবার যাতায়াতে সাত থেকে আট হাজার টাকার তেল খরচ হয়।
টিটি/কেএসআর/জেআইএম