সাহিত্য

মাসুদ চয়নের সিরিজ কবিতা

শূন্য ও আকাশের প্রতি

৮.বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে খুঁজবে যখন রাতের গলিতে—দেখবে রাতের ফসিলে একটি উজ্জ্বল তারা আর নেই—হিম হয়ে যাওয়া রক্তও নেই,কিছু ক্ষয়ে যাওয়া হাড়গোড় পড়ে আছে,তারা থেকে খুলে পড়েছে দুর্ভাগা কপাল। অথচ তখনও পোড়ানোর মতো কত আগুন চারপাশে—কিভাবে পোড়ানো যাবে!

৯.প্রতিবারের এমন আশা ভঙ্গের প্রত্যাশায়— চুমু খাবে হাড়গুলোতে,হাড়ের অগ্নিসংযোগ নীল হয়ে যাবে,সহস্র তারা সমবেত স্বরে অশ্রু ঝরাবে— চিৎকার করে বলবে— থেমে যাও, আগুন!থেমে যাও, আগুন!!

১০.তুমি তো আমার প্রকৃতি— একবার যদি সামনে আসতে,পাশে দাঁড়াতে, মৃদু স্পর্শে বিমূর্ত হতে।ক্ষণিক হলেই হতো,শুধু একবার—এমন পাগল হতাম না অগোছালো রোদে,কবিতাও হতো না—দু’মুঠো ডালভাতের সহজ স্বাভাবিকতা থাকতো,এমন করুণ কাতর অস্বাভাবিকতা কোনোদিনস্পর্শ করতো না।বিগত দাঁড়িয়ে থাকার সময়ক্রমে বহুবার মনে হয়েছিল,তুমি হেরে যাবে কবিতার স্পর্শকাতরতার কাছে—এভাবে চলে গেল কত কত সীমারেখা,তুমি ভাঙলে না,কাঁদলে না—

১১.কতটা নিবিড় সত্য, একা হয়ে বুঝে নিও।যত্নে ছিল না মেদবাহী মেঘ—ঋণ স্বচ্ছ অন্ধকারে দেখে নিও।প্রকৃতি আজ নিস্তব্ধ হয়তো, কৃত্রিমতার প্রখর আলোড়ন, ঢেউগুলো থেমে যাবে দ্রুতই।তোমার স্বরূপ প্রকৃতি পরাজয়ে অস্তমিত হলে,ফিরে পাবে না নিজেকে তুমিও।এই ভেবে কেঁপে উঠি বজ্রঝড়ে।যদি হেরে যায় প্রকৃতির অবারিত উপযোগ,হেরে যাবো তুমি ও আমি সেই সমতলে। আমাদের আত্মিক কক্ষপথ কখনোই ভিন্ন ছিল না।

এসইউ/এএসএম