বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা-দুই দলই এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুই পয়েন্ট করে অর্জন করেছে। তবে তাদের অভিযানের গল্প একেবারেই ভিন্ন। শ্রীলঙ্কার দুই পয়েন্ট এসেছে কলম্বোর বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচগুলো থেকে। এবার তারা চলে এসেছে গরম ও আর্দ্র নাভি মুম্বাইয়ে, যেখানে শুরু হবে তাদের শেষ পর্বের লড়াই, এখনও সেমিফাইনালের ক্ষীণ আশাটা টিকে আছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করলেও এরপর থেকে ছন্দ হারিয়েছে বাংলাদেশ। একাধিক ম্যাচে শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে ভালো লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
তবে তাদের স্পিন আক্রমণ যেভাবে প্রতিপক্ষদের ভোগাচ্ছে, তাতে এবার আশাবাদী জ্যোতিদের দল। সোমবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ‘বাঁচামরার’ লড়াই। কেননা হারা দল ছিটকে পড়বে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে।
দুই দল এখন পর্যন্ত চারবার মুখোমুখি হয়েছে ওয়ানডেতে। দুইবার জিতেছে শ্রীলঙ্কা, বাকি দুটো ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সেমিফাইনালে উঠা বাংলাদেশের জন্য এখন অনেকটা দূর স্বপ্ন, তবে সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়নি।
পরবর্তী দুই ম্যাচ জিততে হবে, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের দিকে। এমনকি টুর্নামেন্টে প্রথম পাঁচে শেষ করাটাও বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হবে বলে জানিয়েছেন দলের অভিজ্ঞ স্পিনার ফাহিমা খাতুন।
বাংলাদেশের বড় দুর্বলতা এখনো ব্যাটিং। তবে বোলিং, বিশেষ করে স্পিন আক্রমণই তাদের শক্তির জায়গা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ধার দেখা যায়নি—১৯৯ রানের লক্ষ্য অনায়াসে দশ উইকেটে পেরিয়ে গিয়েছে প্রতিপক্ষ।
শ্রীলঙ্কারও সমস্যা প্রায় একই। তাদের ব্যাটাররা শুরুতে ভালো করলেও মাঝপথে হুড়মুড় করে উইকেট হারিয়ে ফেলেন। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২৫৮ রান তোলার পারফরম্যান্সে দেখা গেছে তাদের সামর্থ্যের ঝলক।
এই ম্যাচে মূল লড়াই হবে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের বিপরীতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কতটা টিকতে পারে, আর জ্যোতি-সালমারা নিজেদের ব্যাটিং দিয়ে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ইতিহাস গড়তে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
এমএমআর/এমএস