হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর পণ্য সরবরাহে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরের ৯ নম্বর ফটকে সাময়িকভাবে পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
এদিকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যেসব মালামাল পুড়ে যায়নি, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমান শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে। এসব মালামাল ৯ নম্বর ফটক দিয়ে বের হবে বলে জানায় বিমান।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের সামনে বাতাসে পোড়া গন্ধ। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি রাখা হয়েছে। পাশে ৮ নম্বর গেটসংলগ্ন একটি দেওয়ালে একটি তালিকা লাগাচ্ছেন বিমানের কর্মীরা। এ তালিকা দেখতে ভিড় করছেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
এ সময় কথা বলে জানা যায়, এ তালিকাটা বিজিএমইএর মালামালের। আগুনে বিজিএমইএর মালামাল তেমন পোড়েনি। এখানে পাঁচ শতাধিক মালামালের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব মালামাল বিমানবন্দরের ৯ নম্বর ফটক দিয়ে বের করা যাবে বলে জানান বিমানের সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যে পরিমাণ মালামাল আসছে, তা বিমানবন্দরের ৯ নম্বর ফটকের পাশে বিমানের হ্যাঙারে রাখা হচ্ছে। সেখানে এনবিআরের দাপ্তরিক কাজ শেষ করে মালামাল বের করতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ ফটকটি সাধারণত রপ্তানির কাজে ব্যবহার হতো। আর ৮ নম্বর ফটক সংলগ্ন ছিল (যেখানে আগুন লাগে) আমদানি মালামাল রাখা হতো।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কর্মী খন্দকার নাহিদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় বিজিএমইএর অধিকাংশ মালামাল অ্যাভ্রন এরিয়ায় ছিল। তাদের মালামাল তেমন ক্ষতি হয়নি। এসব মালামালের একটি তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে এনবিআরের মাধ্যমে নিতে পারবেন। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেট এলাকায় মালামাল ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে।
এমএমএ/বিএ/এএসএম