দেশজুড়ে

ফরিদপুরে জুয়েলার্সের দোকানে ডাকাতি, দুই নৈশপ্রহরী আহত

ফরিদপুর শহরতলির বাইতুল আমান বাজারে অবস্থিত মেঘলা জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের হামলায় বাজারে পাহারারত দুই নৈশপ্রহরী গুরুতর আহত হন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দিনগত রাত পৌনে ৪টার দিকে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিরাতের মতো বাইতুল আমান বাজারের নৈশপ্রহরী ফইজুদ্দিন বাজার পাহারা দিচ্ছিলেন। ডাকাতি চলাকালীন তিনি মেঘলা জুয়েলার্সের দোকানের সামনে গেলে ডাকাতরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে। ফইজুদ্দিন প্রাণ বাঁচাতে বাইতুল আমান জিরো পয়েন্টের দিকে দৌড়ে গেলে সেখানে উপস্থিত অপর এক নৈশপ্রহরী রহিমকেও ডাকাতরা কুপিয়ে জখম করে। বর্তমানে আহতরা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাতি শেষ করে ডাকাতদল লুটের মাল নিয়ে পালানোর জন্য একটি রিকশা এবং একটি ট্রাক ব্যবহার করে। রিকশায় তিনজন ডাকাতকে বসে থাকতে দেখা যায়। ট্রাকে করে লুট করা কেবিনেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসময় একজন লোক কেবিনেটের পাশে বসে ছিলেন। ফুটেজের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির ঘটনায় দুজন চালকসহ ৬-৭ জন ডাকাত অংশ নেয়।

ফরিদপুরের টেপাখোলা হরিসভার বাসিন্দা ও মেঘলা জুয়েলার্সের মালিক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘ভোর ৪টার দিকে খবর পাই, আমার দোকানে ডাকাতি হয়েছে এবং বাজারের দুই নৈশপ্রহরী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে দ্রুত দোকানে এসে দেখি দোকানের তালাগুলো কাটা এবং দোকানের কেবিনেট নেই। সিন্দুক ও কেবিনেটে স্বর্ণালঙ্কার রেখেছিলাম। পরে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব না। পরবর্তীতে জানানো যাবে।’

এদিকে, মেঘলা জুয়েলার্সে লুট হওয়া কেবিনেটটি পরবর্তীতে ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কের কানাইপুর এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং কেবিনেটটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, দুষ্কৃতকারীরা শহরের বায়তুল আমান বাজারে স্বর্ণের দোকানের তালা কেটে একটি স্টিলের কেবিনেট নিয়ে গেছে। এসময় বাজারের ‍দুই নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে জখম করে। কেবিনেটের মধ্যে অল্প কিছু টাকা, রুপা ও হিসাবের খাতাপত্র ছিল। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এসআর/জিকেএস