আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়া নিয়ে যা বলছে পাকিস্তান

পাকিস্তান ও আফগান তালেবান সরকারের মধ্যে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী শান্তি আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে। যা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে তারার লিখেছেন,চার দিনব্যাপী এই সংলাপ কোনো কার্যকর সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি জানান, পাকিস্তান বহুদিন ধরেই আফগান তালেবান সরকারের কাছ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা চেয়ে আসছে, বিশেষ করে সেইসব জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে, যারা পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

তারার বলেন, কাবুলে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তান বারবার তাদের সঙ্গে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করেছে — যা ভারত-সমর্থিত ফিতনা আল খারিজ (টিটিপি) ও ফিতনা আল হিন্দুস্তান (বিএলএ)-এর কর্মকাণ্ডের ফল।

তিনি আরও জানান, ইসলামাবাদ তালেবান সরকারকে বারবার দোহা চুক্তিতে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু কোনো ফল আসেনি।

তার ভাষায়, আফগান তালেবান সরকারের অব্যাহত সন্ত্রাসী সমর্থনের কারণে পাকিস্তানের আন্তরিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তালেবান সরকার আফগান জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা দেখায় না; বরং যুদ্ধভিত্তিক অর্থনীতিতেই তারা টিকে আছে।

তারার আরও বলেন, তালেবান সরকার চায় আফগান জনগণকে অপ্রয়োজনীয় এক যুদ্ধে জড়িয়ে রাখতে। অথচ পাকিস্তান সবসময় আফগানিস্তানের শান্তি ও সমৃদ্ধির পক্ষে থেকেছে এবং এজন্য বিপুল ত্যাগ স্বীকার করেছে।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চার বছর ধরে মানুষ ও সম্পদের এত ক্ষয়ক্ষতির পর পাকিস্তানের ধৈর্য এখন শেষ সীমায় পৌঁছেছে।

মন্ত্রী জানান, পাকিস্তান দোহা ও পরে ইস্তাম্বুলের আলোচনায় অংশ নিয়েছিল শান্তিকে সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে, কাতার ও তুরস্কের অনুরোধে।

তারার দাবি করেন, পাকিস্তান যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেছিল যে আফগান ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানবিরোধী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হচ্ছে ।

তিনি বলেন, আফগান পক্ষ মূল বিষয় থেকে বারবার সরে গেছে, দায়িত্ব এড়িয়ে দোষারোপের খেলায় মেতেছে। কোনো আশ্বাসই দেয়নি।

শেষে তিনি কাতার, তুরস্ক ও অন্যান্য মিত্র দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদের সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা পাকিস্তান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করছে।

সূত্র: জিও নিউজ

এমএসএম