দেশজুড়ে

ড্রাগন ফলে ভাগ্য বদলেছে কৃষক শওকতের

মাগুরা সদর উপজেলার লাউতাড়া গ্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কৃষক শওকত হোসেনের। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখানকার ড্রাগন ফল। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফল ব্যবসায়ীরা মাগুরায় এসে এ ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মাগুরা সদর উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের শওকত হোসেন প্রায় ৩ বছর আগে ১ একর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করেন। বর্তমানে এ বাগানে কাজ করে এলাকার অনেক বেকার শ্রমিকের আয় উপার্জনের সুযোগ হয়েছে। তার বাগানের ড্রাগন ফল ও এর বেচাবিক্রি দেখে ওই এলাকার আরো কৃষক এখন ড্রাগন ফলের বাগান করছেন। মাগুরার ড্রাগন ফলের আকার, আকৃতি ও স্বাদ ভাল হওয়ায় এর চাহিদাও অনেক। বর্তমানে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, যশোর, ঝিনাইদাহ, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ড্রাগন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ড্রাগন চাষি শওকত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, প্রায় ৩ বছর আগে লিজ নিয়ে (ভাড়া করে) এক একর জমিতে তিনি মাত্র ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে ড্রাগনের বাগান তৈরি করেন। প্রথম বছর তেমন বেচাবিক্রি করতে না পারলেও এ বছর প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া চারা বিক্রি করে আরো কিছু উপার্জন হবে। তবে কৃষি বিভাগের সাহায্য সহযোগিতা ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।এ বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাফিজ হাসান বলেন, মাগুরার আবহাওয়া ও মাটি এ ফল চাষের উপযোগী। ড্রাগন ফলে এন্টি অক্সইড থাকায় এটি বার্ধক্য প্রতিরোধক ও ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। তবে বাজার ব্যবস্থার উন্নতি করা গেলে কৃষকের ভালো একটা আয়ের ক্ষেত্র হবে।আরাফাত হোসেন/এফএ/পিআর