আইন-আদালত

গুম-খুনের অভিযোগ: সিআইডির এডিশনাল এসপি মশিউর কারাগারে

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম ও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)কর্মরত এডিশনাল এসপি মো. মশিউর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত এডিশনাল এসপি মো. মশিউর রহমানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশ।

দুপুরে সিআইডিতে দায়িত্ব পালনের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। মশিউরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা রয়েছে। এ মামলায় তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

প্রসিকিউশন জানায়, মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া গুমের একটি মামলা রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে শিগগির ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১ তে কর্মরত থাকার সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও বিভিন্ন অপেশাদার কর্মকাণ্ডে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের চেষ্টায়ও তার সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সরকার পরিবর্তনের পর বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় গত বছরের ১২ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, র‌্যাব-১১ তে দায়িত্ব পালনকালে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে আলেপ উদ্দিনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন এডিশনাল এসপি মশিউর রহমান।

রাজসাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আলেপ উদ্দিনের অপকর্মের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেন। তিনি জানান, র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে কর্মরত অবস্থায় গুমসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে দক্ষ হওয়ায় আলেপকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশ্রয় দিতেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি বিশেষ কুখ্যাতি অর্জন করেন।

এফএইচ/এএমএ/জিকেএস