এখন থেকে ভারতের আসামে রাজ্যের কোনো অধিবাসী একাধিক বিয়ে করলেই খাটতে হবে জেলে। এমনই এক আইন পাস করতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে রোববার (৯ নভেম্বর) রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, প্রস্তাবিত আইনে বহুবিবাহকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীর জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, এই আইন রাজ্যের তফসিলি উপজাতি জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। পাশাপাশি আসামের ছয়টি তফসিলি এলাকায়ও এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে না।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, এই আইন সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে উপজাতিদের জন্য নয়। তিনি আরও জানান, ২০০৫ সালের আগে তফসিলি এলাকায় বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিম বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও বিশেষ ছাড় থাকবে, তারা এই আইনের আওতার বাইরে থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রী এ সময় সরকারের আরও কয়েকটি চলমান উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে- অস্ত্রের লাইসেন্স যাচাই প্রক্রিয়া, যার প্রথম দফার অনুমোদন আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভূমি বিক্রির অনুমতি নিয়ন্ত্রণেও নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হচ্ছে।
জনসংখ্যার প্রবণতা নিয়েও বক্তব্য দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি ২০০১ থেকে ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য উদ্ধৃত করে বলেন, ওই সময় হিন্দু জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি কমেছে, তবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আসামের বেশ কিছু ব্লকে বেড়েছে।
এদিকে, এই বিল নিয়ে বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও আসাম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া। তিনি অভিযোগ করেছেন, বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার এই নতুন বিল আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিজেপি সরকার মিথ্যা ‘জাতীয় ঐক্যের’ চিত্র তুলে ধরতে চাইছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ